নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়ে তাঁর প্রথম বক্তব্য ছিল, তিনি একটা গোখরো। তাঁর এক ছোবলে সকলে ছবি হয়ে যায়। নিজের গোখরো পরিচয় গোটা নির্বাচনে ভালই বহন করে গিয়েছেন তিনি। তবে নির্বাচন শেষে বিজেপির(BJP) হারের পর আর দেখা যায়নি মিঠুনকে। নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে যখন গোটা রাজ্যে হিংসার অভিযোগ উঠেছে। কোথাও তৃণমূল(TMC), কোথাও বিজেপি আবার কোথাও বাম কংগ্রেস সর্মথকরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এই পরিস্থিতে শাসক দলের উপর অভিযোগ শানিয়ে মাঠে নেমেছে গেরুয়া শিবির। এহেন অবস্থায় এবার নেতাদের রাস্তা ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় হাজিরা দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী(Mithun Chakraborty)। টুইট করে আবেদন জানালেন হিংসা বন্ধ করার। যদিও এত দিন নিখোঁজ থাকা মিঠুন পাল্টা আক্রমণের শিকার হলেন টুইটারে(Twitter)।
নির্বাচন পরবর্তী হিংসা প্রসঙ্গে সম্প্রতি এক টুইটে বিজেপিতে যোগ দেওয়া অভিনেতা লেখেন, ‘ ভোটের পরেও বাংলায় হিংসার আগুন জ্বলছে। দয়া করে এই হিংসা বন্ধ করুন। মানুষের জীবন রাজনীতির থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে এই হিংসা বন্ধ করুন।’ মিঠুনের এই টুইটের নিচে একের পর এক কমেন্ট আসতে শুরু করে, যেখানে কেউ সরাসরি কটাক্ষ করেছেন মিঠুনকে, কেউ আবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন অতীতে তার হিংসাত্মক বক্তব্য।
Bengal is burning since post election. Please stop this violence, human lives are more important than politics,Please think about their families and stop this violence.🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
— Mithun Chakraborty (@mithunda_off) May 4, 2021
টুইটারে এক ব্যক্তি লেখেন, “Respect 🙏🏽 But MithunDa, এটা একেবারেই আশা করিনি, যে আপনি এক ছোবলেই পুরো দলটাকেই ছবি করে দেবেন। আপনি একাই একশো। ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।” মিঠুনকে উদ্দেশ্য করে কমেন্ট বক্সে সৌরভ চন্দ নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, “এখ্ন মনে পড়েছে, তা ‘এক ছোবলে ছবি’ কে বলেছিল??’ মারব এখানে লাশ পরবে শ্মশানে’ রাজনীতির মঞ্চে কে বলেছিল?? একটুও যদি আত্মসম্মান বোধ থাকে আর বাংলা নিয়ে কথা বলতে আসবেন না, জাত গিরগিটি।”
আরও পড়ুন:“কুপ্রস্তাব দিয়ে পুরুষ হয় না, তাকে নপুংসক বলা হয়”, রুদ্রনীলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য এক মহিলার
উল্লেখ্য, ব্রিগেড মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দেন মিঠুন চক্রবর্তী। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তার প্রথম বার্তা ছিল, ‘আমি একটা জাত গোখরো, এক ছোবলেই ছবি’। রাজনৈতিক মঞ্চে তার এহেন বক্তব্য স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক তৈরি করে। তবে দলের স্টার ক্যাম্পেইনার হিসেবে মাঠে নামা মিঠুন চক্রবর্তী শুরু থেকেই হতাশ করেন দলকে। একের পর এক জায়গায় প্রচারে গেলেও তার প্রচারে সেভাবে জনসমাবেশ দেখা যায়নি। কোথাও কোথাও মানুষের ভীড় না থাকার জেরে বাতিল করেছেন সভা। এরপর ব্যর্থ মিঠুন ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর সম্পূর্ণরূপে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। অবশেষে ফের ময়দানে ফিরলেও আক্রমণের শিকার হলেন তিনি।