আচমকাই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল বছর পঞ্চাশের ব্যক্তির। পরিচিত চিকিৎসক পরামর্শ দেন, অবিলম্বে অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। হাজারো খোঁজ করেও রাতে কোনও হাসপাতালের ব্যবস্থা করতে পারলেন না প্রৌঢ়ের পরিজন। অগত্যা সিদ্ধান্ত নিলেন, বাড়িতেই অক্সিজেন দিয়ে কোনও মতে রাতটা কাটাবেন। কিন্তু অক্সিজেন সিলিন্ডার মিলবে কোথায়?
প্রায় সারা রাত ধরে একের পর এক ফোন ঘুরিয়ে, এমনকি শহরের বিভিন্ন জায়গায় হন্যে হয়ে খোঁজ চালিয়েও সিলিন্ডার জোগাড় করতে পারেননি ওই প্রৌঢ়ের পরিজন। অগত্যা শেষমেশ ভাগ্যের উপরেই পুরো বিষয়টি ছেড়ে দিয়েছিলেন।
কিছু ফোন নম্বর বলছে অক্সিজেন জোগাড় করে দেবে, কেউ আবার বেড। কেউ আবার দিচ্ছে ডাক্তারের খোঁজ। কিন্তু বেশকিছু ক্ষেত্রে একাধিক নম্বর দেখা গিয়েছে ভুয়ো। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য এগিয়ে এসেছেন আর জি কর হাসপাতালের কিছু জুনিয়র ডাক্তার।
তারা জানিয়েছেন , বেশ কিছুদিন ধরে গ্রামের মানুষ ফোন করে অক্সিজেনের খোঁজ ও হাসপাতালে বেডের খোঁজ করছিলেন।
এরপরই কাজে নেমে পরেন আরজিকরের জুনিয়র চিকিৎসকরা । যেখানে সঠিক যাচাই করা ফোন নম্বর এক ক্লিকেই পাওয়া যাবে।
সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এই হাসপাতালের চিকিৎসক মৃণ্ময় দাস। তিনি জানিয়েছেন , ডাক্তারি পড়ার পাশাপাশি অ্যাপ তৈরি তার হবি। আর সেই হবিকে কাজে লাগিয়ে মানুষের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন তিনি । তাকে সাহায্য করেছেন সহপাঠীরা।

অ্যাপটির নাম- ‘People Care Network ‘

কীভাবে সাহায্য করবে এই অ্যাপ?
জানা গিয়েছে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ফোন নম্বরগুলোতে ফোন করে তাঁর সত্যতা যাচাই করে, সেটি অ্যাপে তোলা হচ্ছে। কিন্তু কয়েকজনের পক্ষে সেটি সম্ভব নয়। বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। প্রায় ২৫০ স্বেচ্ছাসেবক দিনরাত পরিশ্রম করছেন।
এই অ্যাপের জন্য তৈরি করা হয়েছে হয়েছে ডেটাবেস। যার জন্য রয়েছে আলাদা ইউজার আইডি রয়েছে পাসওয়ার্ড পদ্ধতি। প্রত্যেক সদস্যের জন্য পৃথক ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড আছে। ব্যাকএন্ডে ঢুকে সেই ডেটবেসে লগইন করে তার যাচাই করা তথ্য সে আপলোড করে দিচ্ছে। তা সরাসরি অ্যাপে পৌঁছে যাচ্ছে।
আপনি অ্যাপে ঢুকে নিজের লোকেশন সিলেক্ট করলেই আপনার কাছাকাছি কোথা থেকে পরিষেবা পেতে পারেন, জেনে যাবেন।
