আম হওয়া হল না, মুকুল ঝরিয়ে দিল বিজেপি

Mukul roy বলতে বাধ্য হলেন তাঁর বয়স হয়েছে। তাই বিরোধী দলনেতার পদ নেবেন না। বস্তুত মুকুলকে দিয়ে এটা বলিয়েই তাঁকে সরালো বিজেপি।
সূত্রের খবর, বয়স ও সিনিয়রিটিতে তিনিই হতে চেয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। তাঁকে বাতিল করা হল কৌশলে। মান বাঁচাতে তিনি নিজেই বয়সের কথা বললেন।

এর ফল সুদূরপ্রসারী। বয়সের জন্য এটা না নিলে তিনি তো আর কিছুই নিতে পারবেন না।
কদিন আগেও তাঁর চামচামহলে শোনা যেত মুকুল চাণক্য। এই বুঝি তিনি রাজ্যসভায় গেলেন। এই বুঝি তাঁকে কেন্দ্রে মন্ত্রী করলেন মোদি-অমিত শাহ। এইসব ঘোরানো হত হাওয়ায়। বাস্তবে গ্যাস বেলুন ফুস। মুকুল দেখিলেন তাঁহাকে বিরোধী দলনেতার উপযুক্তও মনে করিলেন না বিজেপির কুলপিতারা !

আরও পড়ুন-শুভেন্দু-মুকুল বিজেপি বেঞ্চে, বিধানসভায় সারদা-নারদ তাহলে তুলবে কে?

তিনি নাকি সর্বভারতীয় সহসভাপতি।
সর্বভারত তো পরের কথা, তিনি রাজ্যেরও না। তিনি কৃষ্ণনগর মন্ডলের সহসভাপতি। ভোটে নিজের আসন ছাড়া গর্ত থেকে বেরোননি। তিনি নাকি সর্বভারতীয়।
আর কৃষ্ণনগর? লোকসভার হিসেবে ওখানে বিজেপির ৫৩,০০০ লিড ছিল। তারপর তৃণমূলের গৌরী দত্তদের বিজেপি যোগদানের পর মুকুলবাহিনী বলছিল ৭৫,০০০ ভোটে জিতবে। তার বদলে ব্যবধান অনেক কমিয়ে তাঁকে হারার মুখে নিয়ে গেছিল অল্পবয়সী নতুন প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। আর সাতদিন সময় পেলে কৌশানী হারিয়ে দিতেন মুকুলকে।

প্রশ্ন হল, এখন বিজেপিতে মুকুলের দমবন্ধ হচ্ছে না? অসম্মান হচ্ছে না? তৃণমূলে থাকতে একসময় যে শুভেন্দুর বিরোধিতা করে এসেছেন মুকুল, তাঁর অধীনে সামান্য বিধায়ক হয়ে থাকতে লজ্জা করবে না?

আসলে এই বৈশাখে তো সব মুকুল আম হবে না। এই মুকুলকে বয়সজনিত ছুতোয় ঝরিয়ে দিল বিজেপি। যে দল ৯০ বছর বয়সী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে দলে টেনে প্রার্থী করে, সেখানে ৬৬র মুকুলকে দিয়ে বলানো হল বয়সের কারণে পদ নেব না, এতো পুরো কমেডি সিনেমা।

অবশ্য হজম না করে কীই বা করবেন মুকুল? সিবিআই, ইডির বকলস তো বড় কম কথা নয়। খাতা যে খোলাই আছে।

Advt

Previous articleশুভেন্দু-মুকুল বিজেপি বেঞ্চে, বিধানসভায় সারদা-নারদ তাহলে তুলবে কে?
Next articleআতঙ্কে পালালো করোনায় মৃতের পরিবারের সদস্যরা, সৎকারের দায়িত্ব নিলেন তৃণমূল নেতা