Sunday, August 24, 2025

করোনার জেরে একদিকে যখন মৃত্যুর মিছিল চলছে তখন ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠলো দুর্গাপুরের(Durgapur) বীরভানপুর মহাশ্মশানে। কোভিড মৃতদেহ শেষকৃত্যের জন্য চলছে দাম দর। কারো কাছে ১০ হাজার টাকা তো কারও কাছে ১৫ হাজার টাকা এইরকম দাবি করা হচ্ছে এবং এই দাবি করছে, বরাত পাওয়া একটি সংস্থা। যারা কোভিড মৃতদেহ(Corona infected dead body) দাহ করবে তাদের দিকেই উঠছে অভিযোগ।

আরও পড়ুন:করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন প্রাক্তন টিটি তারকা বেণুগোপাল চন্দ্রশেখর

জানা গিয়েছে, ওই শ্মশানে মৃতদেহ সৎকার করতে যাওয়া ব্যক্তিরা কয়েকদিন ধরেই এই অভিযোগ তুলছিল কিন্তু তার স্বপক্ষে প্রমাণ মিলল গতকাল রাতে। করোনা আক্রান্ত এক রোগীর মৃতদেহ নিয়ে এসে যখন পরিজন শ্মশানে পৌঁছায় দাহ করার জন্য তখন তার কাছে পনের হাজার টাকা চাওয়া হয় এবং এই টাকা না দিলে গাড়ি থেকে বডি নামানো তো দূর দাহ পর্যন্ত করবে না বলে জানিয়ে দেয় দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই সংস্থার কর্মীরা। দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার পুলিশকে এই খবর জানানো হয় সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে এবং তাদেরকে বুঝিয়ে ওয়ার্নিং করা হয় এইরকম টাকা তোলাবাজি বন্ধ করার জন্য। এরপর দীর্ঘক্ষন বাক-বিতণ্ডার পর ভোর চারটে নাগাদ মৃতদেহ দাহ হয় তবুও ৪০০০ টাকা দিতে হয়। বিশিষ্ট পুলিশ আধিকারিক সহ দুর্গাপুরের মহকুমা শাসককে বিষয়টি জানানো হয়েছে। মৃতের পরিবার আজ লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন মহকুমাশাসকের কাছে। দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগোস্থি নিজেই কোভিডে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তাঁকে ফোনে বিষয়টি জানানোর পর তিনি বলেন, দুর্গাপুরকে বদনাম করার জন্য শ্মশানের দায়িত্ব যে মেয়র পরিষদের রয়েছে তার কোনো হেলদোল নেই এই কালোবাজারি বন্ধ করার। স্থানীয় কাউন্সিলর ওই ব্যাপারে কোনো হস্তক্ষেপ করছে না কেন সেগুলো তদন্ত হওয়া দরকার রয়েছে।

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version