দিনভর টানাপোড়েনের পর স্বস্তি, অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নারদ মামলায় ধৃত ৪জনের

দিনভর টানাপোড়েনের শেষে স্বস্তি। সিবিআইয়ের জেল হেফাজতের আর্জি খারিজ নগর দায়রা আদালতে। নারদ মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেলেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), সুব্রত মুখোপাধ্যায়(Subrata Mukharjee), মদন মিত্র(Madan Mitra) ও শোভন চট্টোপাধ্যায়(Shobhan Chatterjee)। ৫০ হাজার টাকা ব্যক্তিগত বন্ডে প্রত্যেককে জামিন দিয়েছেন বিচারক অনুপম মুখোপাধ্যায় (Apupom Mukharjee)।

নারদ মামলায় সোমবার বিনা নোটিশে গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের দুই মন্ত্রী, এক বিধায়ক এবং এক প্রাক্তন বিধায়ককে। গ্রেফতারের পর
চারজনকে আদালতে ভার্চুয়ালি পেশ করে সিবিআই(Cbi)। এদের সঙ্গেই প্রাক্তন আইপিএস এসএমএইচ মির্জার নাম যোগ করে মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলা রুজু হয়। দুপুর দুটো থেকে শুনানি ঘণ্টাখানেকের মধ্যে শেষ হয়। ধৃত চারজনের ১৪ দিনের জেল হেফাজত চায় সিবিআই। কিন্তু আদালত জানতে চায়, যখন চার্জশিট পেশ করা হয়েছে, তখন হেফাজতে নেওয়ার কী প্রয়োজনীয়তা রয়েছে?

এর উত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, চারজনই প্রভাবশালী। সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন।

আদালতে অভিযুক্তদের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) বলেন, ৪ অভিযুক্ত তদন্তে সহযোগিতা করেননি এমন অভিযোগ নেই। তারা দায়িত্বশীল নাগরিক। এরা কোথাও পালিয়ে যাননি। কোনো নথি নষ্ট করার চেষ্টা করেননি। পুরসভায় করোনা মোকাবিলার দায়িত্বে ফিরহাদ হাকিম। তার গ্রেফতারিতে এই কাজে অত্যন্ত সমস্যা হবে। একই সঙ্গে কল্যাণ অভিযোগ করেন, রাজ্যপালের কোনও ক্ষমতা নেই চার্জশিটের অনুমতি দেওয়ার।
একইসঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, কোভিড পরিস্থিতিতে অযথা কাউকে গ্রেফতার করা বা হেফাজতে নেওয়া যাবে না।

প্রশ্ন ওঠে একই মামলায় অভিযুক্ত থাকা সত্বেও বিজেপি নেতা তথা বিধায়ক মুকুল রায়-শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার নয় কেন?

দুপক্ষের সওয়াল-জবাবের পর বিচারক অনুপম মুখোপাধ্যায় ৪ জনেরই অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছেন। ৫০ হাজার টাকার বন্ডে তাঁদের জামিন দেওয়া হয়েছে। তবে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যেতে পারে সিবিআই।

Advt

Previous articleবিধানপরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত পাশ মন্ত্রিসভার বৈঠকে
Next articleসিবিআইয়ের স্পেশাল পিপি গায়ে হাত তোলেন! অভিযোগ করলেন কল্যাণ