শিলিগুড়ি কি পশ্চিমবঙ্গের বাইরে? পুর প্রশাসক গঠন নিয়ে প্রশ্ন অশোক ভট্টাচার্যের

শিলিগুড়ি কি পশ্চিমবঙ্গের বাইরে? এই প্রশ্ন তুলে রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করলেন সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। অশোকবাবুর প্রশ্ন, শিলিগুড়ি কি সংবিধানের বাইরে? শিলিগুড়ি কি পশ্চিমবঙ্গ পুর আইনের বাইরে? বৃহস্পতিবার দুপুরে শিলিগুড়িতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ওই প্রশ্ন গুলি তুলে অশোকবাবু তাঁর স্বপক্ষে যুক্তিও পেশ করার চেষ্টা করেছেন।

তাঁর যুক্তি হল, কলকাতা কর্পোরেশন, সল্ট লেক, আসানসোল, জলপাইগুড়ি সহ সর্বত্র বোর্ড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে নিয়োগপত্র দেওয়ার সময়ে কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ধাক্কা সামাল দিতে আগের প্রশাসক বোর্ডকে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে কথা লিখিতভাবে প্রতিটি নির্দেশেই লিখেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু, শিলিগুড়ি পুরসভার ক্ষেত্রে তা না লিখে চারজনকে কোভিড মোকাবিলায় অভিজ্ঞ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। যাঁদের একজন আগের পুরবোর্ডের বিরোধী দলনেতা ছিলেন। আরেকজন ভোটে সদ্য পরাজিত পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। সঙ্গে আরও যে দুজনকে নিযুক্ত করা হয়েছে তাঁদের একজন হোটেল ব্যবসায়ী ও চতুর্থজন হলেন ট্রেড ইউনিয়ন নেতা।

অশোকবাবুর অভিযোগ, রাজ্য কোভিড মোকাবিলায় দায়িত্ব দিলেও নব নিযুক্ত প্রশাসক বোর্ড যেন বিরোধী দল ভাঙানোর উপরেই জোর দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, নার্সিংহোমের মাত্রাছাড়া বিল করার প্রবণতা রুখতে, করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য ছোটাছুটি রোখার উপরে জোর না দিয়ে অফিস ডেকোরেশন, নতুন ধরনের নির্মাণ কাজ করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে নতুন প্রশাসক বোর্ডের। অশোকবাবু মনে করেন, নতুন প্রশাসক বোর্ডে আগের সব কাউন্সিলরদের ওয়ার্ড কো অর্ডিনেটর হিসেবে রাখা দরকার ছিল। সেটা করা না হলে শিলিগুড়িকতে রাজ্য সরকার যে অন্য চোখে দেখে সেটাই ফের স্পষ্ট হবে। তবে অশোকবাবু জানিয়ে দেন, তাঁকে প্রশাসক বোর্ডে প্রাক্তন মেয়র হিসেবে রাখা হলেও তিনি সে পদ নিতেন না কারণ ভোটে হেরেছেন।

 

Previous articleপেশার ভিত্তিতে অগ্রাধিকার, শুক্রবার থেকে ভ্যাকসিন দেওয়ার নতুন নিয়ম 
Next articleআজই শুনানি হোক, হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে আর্জি মদন মিত্রের