নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই বালেশ্বরের দক্ষিণ উপকূলে আছড়ে পড়ল সুপার সাইক্লোন ইয়াস

নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই (landfall) স্থলভূমিতে আছড়ে পড়ল সুপার সাইক্লোন ইয়াস (super cycle yaas)। বালেশ্বরের দক্ষিণ উপকূলে আছড়ে পড়ল সুপার সাইক্লোন। মৌসম ভবন (Mausam bhawan) ও আলিপুর আবহাওয়া দফতরের(Alipur weather office) পূর্বাভাস ছিল ল্যান্ডফলের সময় সকাল দশটা। আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা সত্যি করে তা আছড়ে পড়ল প্রায় ৪৫ মিনিট আগে ৯ টা ১৫ মিনিটে। যদিও মৌসম ভবন জানিয়েছে ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া সবেমাত্র শুরু হয়েছে। সুপার সাইক্লোন এর মাথার একেবারে গোড়ার অংশ সবে ঢুকেছে। এরপর ধীরে ধীরে সাইক্লোন আই অর্থাৎ চোখ প্রবেশ করবে। এই সাইক্লোন আই হল প্রধান অংশ এবং সব থেকে শক্তিশালী । তারও পরে ধীরে ধীরে সাইক্লোনের লেজ প্রবেশ করবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে প্রায় ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘন্টা সময় লাগবে।

ইতিমধ্যেই বালেশ্বর এবং ধামরায় প্রকৃতির তাণ্ডব শুরু হয়ে গিয়েছে । ঘণ্টায় ১৫৫ কিমি বেগে বইছে হাওয়া। সমুদ্রে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ ফুট আছড়ে পড়ছে। ইয়াসের দাপটে সাগরের রুদ্র রূপ সাংঘাতিক আকার ধারণ করেছে। আজ পূর্ণিমা এবং ভরা কোটালও। ফলে জলোচ্ছ্বাস আরও তীব্র আকার নেবে। তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের মাঝখানে আই ও সামনের দিকে আউটার ওয়াল থাকে। আউটার ওয়ালের সামনের অংশটা স্থলভাগে ঢুকতে শুরু করেছে। ধামরা থেকে বালেশ্বরের মাঝামাঝি জায়গায় ‘আউটার ওয়াল’ আছড়ে পড়তে শুরু করেছে।

সেই সঙ্গে প্রবল জলোচ্ছাস দিঘাতেও। সমুদ্র হয়ে উঠেছে উত্তাল। গার্ডওয়াল টপকে সমুদ্রের জল ঢুকে পড়ছে ভেতরে। বড় বড় গাছ উপড়ে গেছে । ভেঙে পড়েছে প্রচুর বাড়িঘর হোটেল। প্রবল জলোচ্ছাসে প্লাবিত হলদিয়ার হলদি নদীও । ঘূর্ণিঝড় আঘাত করছে পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলীয় এলাকাগুলি ও সুন্দরবনেও। ভরা কোটালের জেরে এখানে ৮০-১০০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। ঘূর্ণিঝড়, সঙ্গে বুদ্ধপূর্ণিমা-ব্লাড মুন, তার ওপর পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ-ত্রহ্য স্পর্শে আজকে প্রকৃতির শক্তি প্রদর্শনের দিন।

Previous articleক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশিই হবে, গত ৫ বছরে প্রথম ঝড় যা বালেশ্বরকে সরাসরি হিট করবে
Next articleপ্লাবিত উপকূলবর্তী গ্রাম, উদ্ধার সাড়ে ১১ লক্ষ মানুষ: মুখ্যমন্ত্রী