দিন কয়েক আগেই করোনাকে জয় করেছেন। সুস্থ হয়েই করোনা রোগীদের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার নিয়েছেন। দিন হোক বা রাত, অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন রোগীদের দুয়ারে। তারপর তাঁদের নিয়ে সোজা হাসপাতালে। অতিমারির দিনে মানুষের পাশে থাকা দেবশ্রী দেবীকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন জলপাইগুড়ির মানুষ। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দেবশ্রী ভট্টাচার্য্যের এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়ে জলপাইগুড়িবাসী লিখেছেন, “সাবাশ দেবশ্রী দেবী! আপনিই প্রকৃত কোভিড যোদ্ধা। নারীশক্তির জ্বলন্ত উদাহরণ আপনি।”

জলপাইগুড়ি জেলায় ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ। তাই প্রাণভয়ে করোনা রোগীর আশেপাশে যাচ্ছেন না কেউই। কিন্তু ছোটবেলা থেকে ডাকাবুকো দেবশ্রী, অন্য সবার থেকে একটু হলেও আলাদা। প্রথম থেকেই চেয়েছেন মানুষদের জন্য কিছু করতে। একদিন ‘গ্রীন জলপাইগুড়ি’ নামক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেখেই যোগাযোগ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে। ‘গ্রীন জলপাইগুড়ি’ সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয় তাঁদের অ্যাম্বুলেন্স চালক কোভিড পজিটিভ। তাই অবিলম্বে চালকের দরকার। গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা থাকায় দেবশ্রী দেবী নিজেই অ্যাম্বুলেন্সের স্টিয়ারিং ধরেন। সেদিন থেকেই শুরু তাঁর নতুন পথচলা। বর্তমানে দেবশ্রী দেবীর একমাত্র লক্ষ্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করোনা রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া।
পেশায় বিউটিশিয়ান দেবশ্রী দেবী জানান,এইসময় মানুষের পাশে দাঁড়ানো খুব দরকার। মানুষের মৃত্যু অবধারিত। সে করোনা হোক বা অন্যকিছু। তা ভেবে ভয় করে মানুষের পাশে না দাঁড়ানো উচিত নয়। আগামীতে আমার ইচ্ছা নিজেও অ্যাম্বুলেন্স কিনব এবং গ্রীন জলপাইগুড়ির সঙ্গেই কাজ করব।

পেশায় বিউটিশিয়ান । তাই লকডাউনে সেই অর্থে কোনও রোজগার নেই দেবশ্রী দেবীর। কিন্তু তাতেও দমেননি। জানালেন, আগামী দিনে তাঁর ইচ্ছা মহিলাদের নিয়ে কাজ করবেন। বাড়িতে এক অত্যাচারিত মহিলাকেও ইতিমধ্যেই আশ্রয় দিয়েছেন তিনি।
