সম্প্রতি রাজ্য সরকারের সমালোচনায় রীতিমতো বিরক্ত হয়ে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতাদের(BJP leaders) বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়। তা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। এরই মাঝে শুভ্রাংশু কলার টিউনের(caller tune) গান নিয়ে জল্পনা শুরু হল গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। বিজপুরের প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা শুভ্রাংশু রায়কে(Shubhanshu Roy) ফোন করলেই শোনা যাচ্ছে, ‘আচ্ছা চলতা হু দুয়াওমে ইয়াদ রাখনা’। স্বাভাবিকভাবেই ফেসবুকে বিতর্কিত পোষ্টের পর এহেন কলার টিউন দলত্যাগের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।

সাধারণত ব্যক্তিবিশেষ তার মানসিক অবস্থা অনুযায়ী মোবাইলের কলার টিউন সেট করে থাকেন। যাতে মুখে কথা না বলেও মনোভাব প্রকাশ করা যায়। যদিও সবসময় এই যুক্তি খাটে না, তবে অনুসন্ধিতসু ও উৎসাহীরা দুইয়ে দুইয়ে চার করে নিতেই ভালোবাসেন। মুকুল পুত্রের ক্ষেত্রেও বিষয়টা অনেকটা সেরকম। সম্প্রতি ফেসবুক পোস্টে বিজেপি সমালোচনা করার পর এবার কলার টিউনে ‘চলতা হু’ গান শুনে অনেকেই মনে করছেন তবে কি এবার বিজেপির সঙ্গ ত্যাগের বার্তা দিচ্ছেন শুভ্রাংশু রায়! তবে এমন দাবি সমর্থন করার মতো কোনো রকম তথ্য অবশ্য পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন:আলাপনের অবসর: নতুন মুখ্যসচিব-স্বরাষ্ট্রসচিবের নাম ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে তৃণমূলের প্রতীকে প্রথমবার বিধায়ক হয়েছিলেন মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়। এরপর ২০১৬ সালেও তৃণমূলের টিকিটে একই আসন থেকে জয়ী হন তিনি। কিন্তু ২০১৭ সালে মুকুল বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর সব হিসেব উল্টে পাল্টে যায়। ২০১৯ এ লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপিতে যোগ দেন তিনি এবং বীজপুর কেন্দ্রে তৃণমূলের কাছে পরাজিত হন। এবার ২০২১ এর নির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল জয়ের পর সম্প্রতি নিজের ফেসবুক পোস্টে শুভ্রাংশুকে লিখতে দেখা যায় ‘জনগণের সমর্থন নিয়ে আসা সরকারের সমালোচনা করার আগে আত্মসমালোচনা করা বেশি প্রয়োজন।’ এই পোস্ট যে বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে লেখা তা বুঝতে কারও অসুবিধা হয়নি। শুভ্রাংশু ফেসবুক পোস্ট প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ অবশ্য জানান, ‘কারও ব্যক্তিগত মতামত হতেই পারে। কে কি পোস্ট করল তাতে যায় আসে না।’ এরই মাঝে এলো বিদায় বার্তা দেওয়া ফোনের কলার টিউন। যদিও এ প্রসঙ্গে মৌনব্রত নিয়েছেন শুভ্রাংশু রায় ও তার পিতা মুকুল রায়।

