মমতাকে দেশের শীর্ষ পদে চাই, মোদিকে পিছনে ফেলে টুইটারে ট্রেন্ডিং #BengaliPrimeMinister

বিজেপির বাংলা দখলের স্বপ্ন আর প্রচারকে চুরমার করে সদ্য বিপুল জনাদেশ নিয়ে বিধানসভায় মর্যাদার লড়াই জিতে তৃতীয়বারের জন্য প্রত্যাবর্তন। আর অতি সম্প্রতি প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে মোদি সরকারের সঙ্গে সরাসরি তীব্র সংঘাত। পরপর দুই ঘটনার অভিঘাতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) ফের জাতীয় রাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রে। আর দেশের রাজনীতির এই প্রবণতাই উঠে এল সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিছুদিন আগে পর্যন্তও যে নরেন্দ্র মোদি (narendra modi) টুইটারে ট্রেন্ডিং থাকতেন তাঁকে টপকে গেলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। নেটিজেনদের পছন্দের মাপকাঠিতে সোমবার থেকে টুইটারে ট্রেন্ডিং (Twitter Trending) চলছে #BengaliPrimeMinister। ২০২৪ সালে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এখন থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামকে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন তাঁর সমর্থক ও অনুগামীরা। আর এই সমর্থকের তালিকায় শুধু বাংলার মানুষই নেই, অন্যান্য রাজ্যের বহু নেটিজেনও মোদির জায়গায় মমতাকেই দেখতে চান। তাই সরাসরি টুইটারে বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হিসেব ট্রেন্ডিং হয়ে উঠেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত, একুশে বাংলার ভোটযুদ্ধের দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা দেশ তথা বহির্বিশ্বের বহু মানুষ। এই যুদ্ধ জয়কে মর্যাদার লড়াই ঘোষণা করে সর্বশক্তিতে ময়দানে নেমে পড়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ। কোভিড পরিস্থিতির আশঙ্কা উপেক্ষা করে বাংলায় ডেলি প্যাসেঞ্জারি শুরু করে দেন মোদি-শাহ সহ গোটা গেরুয়া ব্রিগেডের শীর্ষ নেতারা। কিন্তু তাঁদের যাবতীয় পরিকল্পনা ও হম্বিতম্বি বানচাল করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বের প্রতি বিপুল আস্থা রেখেছেন বঙ্গবাসী। ভোটে এই লজ্জার হার মেনে নিতে না পেরে কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার নির্বাচিত সরকারকে অপদস্থ করতে রোজই নতুন নতুন কৌশল নিচ্ছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তার সবকটিকে ব্যর্থ করে দিয়ে মোদি বিরোধী মুখ হিসাবে নিজের গ্রহণযোগ্যতা কয়েক গুণ বাড়িয়ে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই দেশের বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হ্যাশট্যাগটি এখন টুইটারে ট্রেন্ডিং। মোদি তথা বিজেপি বিরোধী মুখ হিসাবে মমতাকেই দেখতে চাইছে দেশ। মাত্র ছমাস আগেও যে মোদি সোশ্যাল মিডিয়ায় এদেশে একনম্বর পছন্দ বা ট্রেন্ড ছিলেন, সেখানে তাঁর জায়গা রোজই একটু একটু করে কমছে। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর গোটা দেশেই মোদির জনপ্রিয়তা লক্ষণীয়ভাবে কমতির দিকে। আর সেই জায়গায় উঠে আসছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। নিঃসন্দেহে ২০২৪ এর আগে যা তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে বড় রাজনৈতিক প্রাপ্তিও বটে।