পাশে নেই জেলা নেতৃত্ব, বর্ধমানে দলের বৈঠকে তীব্র বিক্ষোভ বিজেপি কর্মীদের

একে স্বপ্ন ভঙ্গ, তার উপর কোনও ভাবেই পাশে পাওয়া যাচ্ছে না নেতাদের। এমন এক গুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে বর্ধমানে জেলা বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন দলের কর্মীরা। বুধবার পূর্ব বর্ধমান জেলার বিজেপি প্রার্থী এবং কর্মীদের নিয়ে বর্ধমানে জেলা কার্যালয়ে বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা নেতৃত্বে। বৈঠক চলার সময়ই একাধিক ইস্যুতে প্রবল উত্তেজনা তৈরি হয়। সংবাদমাধ্যমের সেখানে প্রবেশের অনুমতি না থাকলেও বাইরে থেকে গণ্ডগোলের শব্দ গালিগালাজের আওয়াজ মেলে। পরে জেলা নেতৃত্বে কার্যত সে কথা স্বীকারও করে নেন।

ভোটে হারার পর থেকেই বিজেপি কর্মীদের মারধর বা বাড়ি-ছাড়া করার অভিযোগ তোলা হয়। যদিও শাসকদল সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। এদিনই যেমন পূর্ব বর্ধমানের বৈকুণ্ঠপুর-২ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েতের সাগর পণ্ডিত নামের এক বিজেপি কর্মী স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তোলেন। অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে।

বুধবার বর্ধমানে বিজেপির বৈঠকেও কর্মীদের মার খাওয়ার ইস্যু সামনে আসে। দলের কর্মীদের অভিযোগ, বিপদের সময় সাহায্যে চেয়েও দলের নেতাদের দেখা মেলেনি, পাশে পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে বুধবারের এই বৈঠক কার্যত গোষ্ঠী কোন্দলের আখড়ায় পরিণত হয়।

বৈঠক থেকে বেরিয়ে বর্ধমান দক্ষিণের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী সন্দীপ নন্দী বলেন, নিচুতলার কর্মীদের এই বিক্ষোভ স্বভাবিক। দলের তরফে বিজেপি কর্মীদের ঘরে ফেরাতে পুলিশের সাহায্য চাওয়া হয়েছে বলেও জানান।

জেলার দায়িত্বে থাকা আর এক বিজেপি নেতা প্রবাল রায় দাবি করেন ২ মে ভোটের ফল বেরনোর পর থেকেই হামলার মুখে পড়তে হচ্ছে দলের কর্মীদের। আর এই হামলার পিছনে তিনি কার্যত রাজ্যের শাসক দলকেই দায়ী করেছেন।

বৈঠকের গণ্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় স্থানীয় পুলিশ। গোষ্ঠী কোন্দল যাতে এলাকায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না করে, আইনশৃঙ্খলা যাতে বজায় থাকে তার জন্য বিজেপি জেলা পার্টি অফিস চত্বরে পুলিশ মোতায়েন করতে হয়।

আরও পড়ুন- চার ধাপে পোস্তা উড়ালপুল ভাঙার সিদ্ধান্ত রাজ্যের

Advt

 

Previous articleচার ধাপে পোস্তা উড়ালপুল ভাঙার সিদ্ধান্ত রাজ্যের
Next articleরাজ্যে এল কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের ৭ লক্ষের বেশি ডোজ