চার ধাপে পোস্তা উড়ালপুল ভাঙার সিদ্ধান্ত রাজ্যের

অবশেষে পোস্তা উড়ালপুল ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য। ১৫ জুন থেকে পরপর চারটি ধাপে ব্রিজ (Bridge) ভাঙার কাজ শুরু হবে। প্রথম ৪৫ দিনে উড়ালপুলের একাংশ ভাঙা হবে। বুধবার, পোস্তাবাজার (Posta Market) মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন কলকাতা (Kolkata) পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তারপরই ব্রিজ ভাঙার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। ফিরহাদ হাকিম জানান, ভাঙার কাজের চলাকালীন যাতে যান চলাচল ব্যাহত না হয়, তার জন্য ট্রাফিক অন্য পথে ঘোরানো হবে। বিষয়টি নিয়ে কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করবে পুরসভা। বাকি তিন ধাপে কীভাবে উড়ালপুলটি ভাঙা হবে- তা প্রথম ধাপের পরে আলোচনার পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ভেঙে যাওয়া কাঠামো ভাঙার সময় সব ধরনের সর্তকতা অবলম্বন করা হবে। আশপাশের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।

২০১৬ সালের ৩১ মার্চ বিধানসভা ভোটের মুখে ভেঙে পড়েছিল নির্মীয়মাণ ব্রিজটি। মৃত্যু হয় ২৮ জনের। তারপর দীর্ঘদিন ওই অবস্থায় পড়ে রয়েছে ব্রিজের ভগ্ন কাঠামো।

ভেঙে পড়ার পরে উড়ালপুলের ভবিষ্যত কী হবে, তা ঠিক করতে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি তৈরি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। প্রথমে খড়্গপুর আইআইটির বিশেষজ্ঞরা ভাঙা ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। কিন্তু তাঁদের রিপোর্টে সন্তুষ্ট না হওয়ায় ব্রিজ বিশেষজ্ঞ ভিকে রায়নাকে (V K Rayna) দায়িত্ব দেয় সরকার। তিনি সরেজমিনে খতিয়ে দেখে পোস্তা উড়ালপুল সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলার পরামর্শ দেন। সেই মতামতকেই গুরুত্ব দিয়েই রেলের অধীনস্থ সংস্থা রাইটসকে ব্রিজ ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন- সুশীলের বিরুদ্ধে তথ্য ও প্রমাণ লোপাট করার  অভিযোগ আনল দিল্লি পুলিশ

Advt

 

 

Previous articleসুশীলের বিরুদ্ধে তথ্য ও প্রমাণ লোপাট করার  অভিযোগ আনল দিল্লি পুলিশ
Next articleপাশে নেই জেলা নেতৃত্ব, বর্ধমানে দলের বৈঠকে তীব্র বিক্ষোভ বিজেপি কর্মীদের