বেকায়দায় রাজীব! আমফানে পড়ে যাওয়া গাছ কোথায়? ৩ দিনের মধ্যে রিপোর্ট তলব মুখ্যমন্ত্রীর

আমফানে সময় উপড়ে যাওয়া গাছগুলি কোথায় গেল? বুধবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে সেই প্রশ্ন তুলে তিনদিনের মধ্যে সব দফতরের থেকে সেই রিপোর্ট তলব করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন, সেচ দফতরের কাজ নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন মমতা। বলেন, “প্রতিবছরই সেচ দফতর বাঁধ সারাচ্ছে, প্রতিবছরই ভেঙে যাচ্ছে। লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে জলে যাচ্ছে। আমরা জল বাঁধব কী? জলই আমাদের বেঁধে ফেলছে”। মুখ্যমন্ত্রীর নাম গতবছর আমফানের পরে ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ বসানো হয়েছে। দুই ২৪ পরগনা ও মেদিনীপুরে আরও ম্যানগ্রোভ এবং ভাঙন রুখতে ভ্যাটিভার ঘাস লাগানোর পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। ফের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রকৃতিই সহায়ক। আমফানের সময় প্রচুর গাছ ভেঙেছে, সেই গাছ কোথায় গেল? বন দফতর, কলকাতা পুরসভা, মিউনিসিপ্যালিটি-সহ সব দফতরকে ৩ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলেন মমতা। মনে করিয়ে দেন, ১১ ও ২৬ জুন ভরা কটাল রয়েছে। তার আগে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ করতে হবে। ফের একবার আতস কাচের তলায় প্রাক্তন ২ সেচ ও বনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী (Shubhendu Adhikari), রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) ভূমিকা।

দিঘা সৈকতের পুনর্নির্মাণে চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে দায়িত্ব নিতে হবে। তবে, দিঘা সৌন্দর্যায়নের কাজে কোনও কোনও জায়গায় গাফিলতি রয়েছে। এই নিয়ে বৈঠকে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

দিঘার (Digha) পাশাপাশি মন্দারমণিতে ক্ষয়ক্ষতির জন্য হোটেল মালিকদের দায়ী করেন মমতা। তিনি বলেন, “মন্দারমণিতে (Mandarmoni) হোটেলের ক্ষতি হয়েছে নিজেদের দোষে। সমুদ্রের মধ্যে গিয়ে হোটেল তৈরি করেছে”।

আরও পড়ুন-শিশির, সুনীলের এমপি পদ খারিজে চাপ বাড়াল তৃণমূল

সুন্দরবনে (Sundarban) বিদ্যাধরী নদীর বাঁধ সবথেকে বেশি ভেঙেছে। একথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাঁধ সারাই এবং পুনর্বাসনে প্রয়োজনে ১০০ দিনের কাজের লোকেদের কাজে লাগাতে হবে। “প্রতি বছরই ঘূর্ণিঝড়ে বাঁধ ভাঙছে। বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে ব্যবস্থা করতে হবে। অন্তত ১০ বছরের জন্য ঠিকাদারদের দায়িত্ব দিতে হবে”।

এই দিনের বৈঠকে সেচ ও বন দফতরের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশের পাশাপাশি বন দফতরের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

আমফানের সময় সেচমন্ত্রী ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপিতে যোগদানের আগে গতবছর নভেম্বরে সেচমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। তার আগে ২০১১ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত রাজ্যের সেচমন্ত্রী ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর তাঁকে বনমন্ত্রী করা হয়। ইয়াসের পর থেকেই এই দুই দফতরে কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বড়বাড়ি কাঠগোড়ায় উঠছে প্রাক্তন দুই মন্ত্রীর ভূমিকা।

Advt

Previous articleশিশির, সুনীলের এমপি পদ খারিজে চাপ বাড়াল তৃণমূল
Next articleবিশ্ব টেস্ট চ‍্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পন্থে ভরসা অশ্বিনের