মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অসম যুদ্ধে প্রার্থী কে? এই প্রশ্নে আড়াআড়ি বিভক্ত সংযুক্ত মোর্চা

বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফের জোট ১টি মাত্র আসন জিতেছে। বাম, কংগ্রেস নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে বিধানসভা থেকে। এই অবস্থায় ভবানীপুরে উপনির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী না দেওয়ার কথা বলে দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। কিন্তু তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথাই ঘোষণা করেছে বামেরা। এই অবস্থায় হার নিশ্চিত জেনেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সিপিএম না অন্য কোনও বাম শরিক প্রার্থী দেবে সে চিন্তাই ঘুরপাক খাচ্ছে বামফ্রন্টের অন্দরে।

ভবানীপুরে উপনির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্তে এখনও সিলমোহর দেয়নি কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। তবে কংগ্রেস শেষ পর্যন্ত প্রার্থী না দিলেও প্রার্থী দিতে চায় আলিমুদ্দিন। কিন্তু একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, বিধানসভা ভোটে যে জোট তৈরি হয়েছিল তা কি ভেঙে গেল। কারণ সিপিএমের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই কংগ্রেস একক ভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আর এ ক্ষেত্রে সংযুক্ত মোর্চার ভূমিকা কী হবে বা সর্বোপরি সংযুক্ত মোর্চার ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়েও ২০১৬ সালের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে।

২০১৬-র বিধানসভা ভোটেও ধরাশায়ী হওয়ার পর বাম এবং কংগ্রেসকে আর কাছাকাছি দেখা যায়নি, কোনও কর্মসূচি এক সঙ্গে পালন হয়নি। তাই কংগ্রেস এবার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করায় সেই স্মৃতিই কার্যত ফিরে আসছে। যা নিয়ে বাম তো বটেই কংগ্রেসের অকাংশও অস্বস্তিতে। কারণ ভোটের সময় জোট আর ভোট মিটলেই যে যার রাস্তায় এই ধারা চললে ভবিষ্যতেও জোটের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।

এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে রুদ্রনীল ঘোষই প্রার্থী হতে পারে বলে জল্পনা।

আরও পড়ুন- মুকুল রায় না অশোক লাহিড়ি, PAC-র চেয়ারম্যান কে হবেন? জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে

Advt

Previous article“কাকিমা অসুস্থ জানতাম না”, মুকুল জায়াকে হাসপাতালে দেখতে এসে মন্তব্য লকেটের
Next articleব্রেকফাস্ট নিউজ