দিলীপকে ঘিরে বিক্ষোভ দলীয় কর্মীদের, মেজাজ হারালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি

বিধানসভা নির্বাচনে হুগলিতে(Hooghly) কার্যত ভরাডুবি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। এই জেলার ১৮ টি আসনের মধ্যে মাত্র চারটি আসনে জয় পেয়েছে বিজেপি। বাকি সব গিয়েছে তৃণমূলের দখলে। এমনকি পরাজয়ের মুখে পড়তে হয়েছে গতবার এই জেলা থেকে সাংসদ হওয়া লকেট চট্টোপাধ্যায়কেও। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই শুক্রবার হুগলির চুঁচুড়াতে দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর সেখানেই প্রকাশ্যে এল জেলার দলীয় কোন্দল। দিলীপ ঘোষকে(Dilip Ghosh) ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলো একদল বিক্ষুব্ধ কর্মী-সমর্থক। আকস্মিক এই ঘটনায় মেজাজ হারালেন দিলীপ।

শুক্রবার হুগলিতে সাংগঠনিক বৈঠক করতে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। বৈঠক থেকে বেরোনোর পর তাকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে দলেরই কর্মী-সমর্থকরা। সরাসরি বিজেপি হুগলি জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তারা। দিলীপ ঘোষকে সামনে পেয়ে কর্মী-সমর্থকরা অভিযোগ তোলেন, ‘আমরা যে দলের জন্য মার খেলাম এই জেলা সভাপতি আমাদের একটা কথা শুনল না।’ প্রবল চিৎকার চেঁচামেচির মাঝে মেজাজ হারিয়ে পাল্টা দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘একদম চেঁচাবেন না। এখানে চেঁচানি শুনতে আসিনি। ভদ্রভাবে কথা বলুন। পার্টিটাকে কিনে নিয়েছে নাকি? ভদ্রভাবে কথা বলতে পারো না?’ তবে থামেননি কর্মী-সমর্থকরা। তারা সরাসরি অভিযোগ তোলেন, দলের এই ভরাডুবির জন্য দায়ী জেলাসভাপতি গৌতম চট্টোপাধ্যায় এবং সম্পাদক দীপাঞ্জন গুহ।

আরও পড়ুন:সোমবার থেকে অ্যাপোলো হাসপাতালে শুরু হচ্ছে স্পুটনিক ভি-র টিকাকরণ

যদিও দীর্ঘক্ষন এই টালমাটাল পরিস্থিতির পর কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন দিলীপবাবু। তাদের ক্ষোভ অভিযোগ সব শোনার আশ্বাস দেন তিনি। পাশাপাশি বলেন, নিউটাউনে আগামী মঙ্গলবার তাঁর বাড়িতে এই সমস্ত বিক্ষুব্ধ কর্মীদের বৈঠকের জন্য ডাকেন তিনি ‌। তবে সাংগঠনিক বৈঠক এগিয়ে হুগলিতে যেভাবে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হলো দিলীপ ঘোষকে তাতে এটা বেশ স্পষ্ট যে দলের অন্দরে ভাঙন ধরেছে প্রবলভাবে। সেই ভাঙন সামাল দিতে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে রাজ্য নেতৃত্বকে।

Advt

Previous articleমহাপ্যাঁচে ইস্টবেঙ্গল, লগ্নিকারীর হেনস্থায় চটেছে নবান্নও
Next articleBreaking: BJP অশোক লাহিড়িকে চাইলেও স্পিকার সিদ্ধান্ত নেবেন