এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মুকুল আমাদের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলেনি। ঘরের ছেলে। তৃণমূলের অত্যন্ত পুরনো দিনের সাথী। চমকে-ধমকে তাঁকে রাখা হয়েছিল বিজেপিতে (Bjp)। ওইদলে কেউ থাকতে পারে না”। এই কথার রেশ নেই মুকুল রায় বলেন, “খুব ভালো লাগছে। অনেকদিন পরে পুরনো ছেলেদের দেখতে পাচ্ছি”। এরপরেই বলেন, “বিজেপি করতে পারলাম না। পারবও না। সেই কারণেই পুরনো দলে ফিরে এলাম। বাংলায় বিজেপি করার লোক থাকবে না। ওই দলে থাকা যায় না”।
মুকুল বলেন, বাংলাকে লিড করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ অর্থাৎ স্পষ্ট ইঙ্গিত ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের দিকে। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধী জোটের মুখ হিসেবে ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। মুকুলের এই মন্তব্য সেই জল্পনাকে আরও উসকে দিল।
একইসঙ্গে রাজনৈতিক মহল খুঁজে পাচ্ছে আরও এক সমাপতন। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের ঠিক দুবছর আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মুকুল। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের তিনবছর আগে দলে ফিরলেন তিনি। এবং স্পষ্ট জানিয়ে জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কোনো মতবিরোধ নেই।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কেন ছাড়লেন বিজেপি? কী অসুবিধা হচ্ছিল? সরাসরি এই প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে চাননি মুকুল রায়। শুধু বলেছেন, তাঁর দল ফেরা নিয়ে তিনি লিখিত বিবৃতি পেশ করবেন।
