“শোভনের সঙ্গে তো মেয়ের বিয়ে দিতেই চাইনি” : দুলাল

ওঁর সঙ্গে তো আমার মেয়ের বিয়ে দিতেই চাইনি। ওই তো জোর করে রত্নাকে বিয়ে করল। ‘ জামাই ষষ্ঠীর (jamai sasthi) দিনে একরাশ হতাশা আফসোস উগড়ে দিয়ে মনের কথা ব্যক্ত করলেন দুলাল দাস (Dulal Das)। দুলাল দাস কলকাতার প্রাক্তন মহানাগরিক শোভন চট্টোপাধ্যায়ের (sovan Chatterjee) শ্বশুরমশাই ওরফে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের (Ratna Chatterjee) বাবা । দুলালবাবু বললেন

“ওঁর সঙ্গে তো আমার মেয়ের বিয়ে দিতেই চাইনি। ওই তো

ওর ভাইদের নিয়ে এসে জোর করে হাত পা ধরে রাজি করাল। সেই সময় আমি কলকাতায় একজনের বাড়িতে ছিলাম। সেই বাড়িতে গিয়ে চার ভাই মিলে আমাকে বলে, আপনার মেয়েকে বিয়ে দিতে হবে। আমরা ওকে আমাদের ঘরের মেয়ের হিসেবে মেনে নিয়েছি। সেই সময় ওরা অনেক কাকুতিমিনতি করে আমাকে রাজি করিয়েছিল। কিন্তু এখন মনে হয়, সেদিন রাজি না হলেই বোধহয় ভাল ছিল। ওঁর মতো জামাই না হলেই ভাল হত।’’

শোভন-রত্না -বৈশাখীর (sobhan – Ratna and baisakhi)এই ত্রিকোণ সম্পর্কে দুলাল বরাবরই মেয়ে রত্নার পাশে ছিলেন। এখনো আছেন। তাই মেয়ের পক্ষ নিয়ে প্রকাশ্যেই তীব্র সমালোচনা করছেন শোভন-বৈশাখীর। সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচনের সময় ভোটযুদ্ধেও সারাক্ষণই মেয়ের পাশে ছিলেন দুলালবাবু। মেয়ে-জামাইয়ের সম্পর্কের টানাপোড়েন দিয়ে এতদিন প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি দুলাল দাস। কিন্তু সম্প্রতি শোভন – সখী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে শোভন চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন যে, তাঁর জন্যই নাকি রাজনীতিতে আসতে পেরেছিলেন দুলাল দাস। শোভনের অনুগ্রহেই নাকি মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান হয়েছিলেন দুলাল। প্রকাশ্যে জামাইয়ের এমন অভিজেগের পর আর চুপ করে থাকতে পারেননি দুলাল বাবু। কড়া জবাব দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, ‘‘শোভন বলেছে আমি নাকি ওঁর হাত ধরে রাজনীতিতে এসেছি। আমি রাজনীতিতে এসেছি, ১৯৬৮ সালে। আর শোভনের জন্ম কত সালে, সেটা ওকে দেখতে বলুন। আমার মেয়ের সঙ্গে ওর বিয়ে হয়েছিল ১৯৯৫ সালে। আর আমি প্রথম নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি ১৯৮৬ সালে। আমার বক্তব্যের সব প্রমাণ আমার কাছে আছে।”