Wednesday, November 12, 2025

সুদীপ রায়বর্মণের হাত ধরেই ত্রিপুরা বিজেপিতে বড় ভাঙনের আশঙ্কা

Date:

Share post:

সুদীপ রায়বর্মণের হাত ধরেই ত্রিপুরা বিজেপিতে বড় ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আর তা0 আটকাতেই ত্রিপুরায় হঠাৎ সক্রিয় হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় বিজেপি  ।

এখন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাখির চোখ ২০২৪ সালের লোকসভা ভোট। সেই লক্ষ্যেই একাধিক রাজ্যে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য এগোচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই বিজেপি ছেড়ে দলে ফিরে এসেছেন মুকুল রায়। আর ত্রিপুরায় ফের সংগঠন সাজাতে সেই মুকুলকে কাজে লাগাতে চাইছে এ রাজ্যের শাসক দল। এতেই নড়েচড়ে বসেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বাংলার মতো ভরাডুবি যাতে ত্রিপুরায় না হয়, সেই কারণে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির।

ত্রিপুরা বিজেপির ‘বিরোধী গোষ্ঠীর’ নেতা সুদীপ রায়বর্মণকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন মোদি-অমিত শাহরা। তাই সুদীপের মোকাবিলা করতে ঘর গোছানোয় মন দিয়েছে বিজেপি। কারণ সুদীপের হাত ধরেই ত্রিপুরা বিজেপিতে বড় ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আর তা আটকাতেই ত্রিপুরায় হঠাৎ সক্রিয় হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বও।

ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় সংগঠন পোক্ত করছে তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে গতকাল, বুধবার হঠাৎই আগরতলায় হাজির হন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা বিএল সন্তোষ। দিনভর বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় সংগাঠনিক সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষ। বিপ্লব দেব বিরোধী ৬ বিধায়ককে নিয়ে বৈঠক করেন তিনি।তাৎপর্যপূর্ণভাবে, সেই বৈঠকে ছিলেন সুদীপ রায়বর্মণও।

ভিনরাজ্যে দলকে ছড়িয়ে দিতে ত্রিপুরাকেই প্রথম টার্গেট করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায়রা। বিপ্লব দেব শাসিত এই রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস অনেক আগেই প্রবেশ করেছিল। সেই কাজটির মাস্টারমাইন্ড ছিলেন মুকুল রায়ই। তাঁর হাতযশেই ত্রিপুরাতে তৃণমূলের ৬ জন বিধায়কও ছিল। কিন্তু মুকুল রায় বিজেপিতে যোগদান করার পরেই ওই ৬ বিধায়ক বিজেপিতে চলে যান। তারপর থেকেই ত্রিপুরা কার্যত তৃণমূলশূন্য হয়ে পড়েছিল। কিন্তু এবার ফের ‘খেলা’ শুরু হতে চলেছে ত্রিপুরায়। সৌজন্যে সেই মুকুল।

ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে সুদীপের সংঘাত ওপেন সিক্রেট।
শোনা যাচ্ছে, অন্তত ১৪ জন বিধায়ক নিয়ে বিজেপি ছাড়তে পারেন সুদীপ। আর সেই আশঙ্কাই বিজেপির অন্দরে ঝড় তুলে দিয়েছে। বড় সংখ্যক বিধায়ক নিয়ে দল ছাড়ার পর সুদীপের গন্তব্য যে তৃণমূলই হবে, তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। কারণ দলবদলের আগে ওই বিজেপি বিধায়কদের কলকাতায় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের কথাও রয়েছে।

ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে একটি নতুন গান। গানের নামই হল, ‘ত্রিপুরা কইতাসে, মমতাদি আইতাসে।’ গানটি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছে। এই গানে মূলত তৃণমূলের এ রাজ্যে বিভিন্ন জনদরদি প্রকল্পের বিষয়গুলি তুলে ধরা হয়েছে।

 

spot_img

Related articles

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কে স্বচ্ছতা আনতে চালু অনলাইন অডিট ব্যবস্থা

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। এ বার থেকে সমস্ত সমবায় সমিতি...

সরকারি প্রকল্পে স্বচ্ছতা বাড়াতে চালু হচ্ছে জিও ট্যাগিং ব্যবস্থা! নির্দেশিকা জারি নবান্নের 

সরকারি প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও তদারকিতে আরও স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। নবান্নের নির্দেশে এবার থেকে রাজ্যের...

মুখ্যমন্ত্রীকে কটূক্তি! ‘নারীবিদ্বেষী’ শান্তনু ঠাকুরের ইস্তফার দাবি তৃণমূলের

বিজেপি বাংলাকে সম্মান করে না। এই বিজেপি মহিলাদেরও সম্মান করে না, করতে জানেও না। সেটা আরও একবার প্রমাণ...

মৃত ভোটারের নামে ফর্ম জমা পড়লে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ কমিশনের

মৃত ভোটারের নামে এনুমারেশন ফর্ম জমা পড়লে এবার সরাসরি আইনি ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী,...