Monday, August 25, 2025

কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে চালু থাকা নারদ-মামলার পরবর্তী শুনানি দু’দিন স্থগিত রাখার জন্য অনুরোধ জানালো দেশের সর্বোচ্চ আদালত৷ আগামী সোমবার ফের এই মামলার শুনানির দিন ধার্য ছিলো৷ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট সেই শুনানি বুধবার পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে৷

শুনানি এইভাবে পিছিয়ে দেওয়ার কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, নারদ-কাণ্ড স্থানান্তরের মামলায় গত ৯ জুন বৃহত্তর বেঞ্চ এক নির্দেশ জারি করেছে৷ সেই নির্দেশই চ্যালেঞ্জ করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের তরফে শীর্ষ আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ সুপ্রিম কোর্ট এই আবেদনে শুনানির দিন ধার্য করেছে আগামী মঙ্গলবার ৷ যেহেতু এই মামলাটির বিষয়বস্তু কলকাতা হাইকোর্টে চালু থাকা নারদ-মামলার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, তাই শীর্ষ আদালতের এ সম্পর্কিত রায় হাইকোর্টের জানা প্রয়োজন৷ এ কারণেই হাইকোর্টকে অনুরোধ করা হচ্ছে, বিচারাধীন থাকা নারদ-মামলা স্থানান্তরের বিষয়টির শুনানি দু’দিন পিছিয়ে দেওয়া হোক৷

শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এইচ গুপ্তা এবং বিচারপতি আর রামাসুব্রহ্মণ্যম-এর এজলাসে রাজ্য সরকার ও মলয় ঘটকের করা মামলার ( SLP-crl no 004228 Of 2021) শুনানির কথা ছিলো৷ কিন্তু শুনানি হয়নি, আগামী মঙ্গলবার দিন ধার্য হয়েছে৷  শীর্ষ আদালতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের দাখিল করা আবেদনে বলা হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে বিচারাধীন নারদ-মামলায় একতরফা সিদ্ধান্তে CBI রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকারকে পক্ষভুক্ত করেছে৷ অথচ গত ৯ জুন বৃহত্তর বেঞ্চ তাঁদের হলফনামা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে৷ তাঁদের কথা না শুনে এই মামলার বিচার-পর্ব যথাযথ এবং সুষ্ঠ হতে পারেনা৷ বৃহত্তর বেঞ্চের ওই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য এবং আইনমন্ত্রী ৷ সুপ্রিম কোর্টে এখনও এই মামলার শুনানি বা রায় ঘোষণা হয়নি৷ শীর্ষ আদালত যদি রাজ্য সরকার এবং আইনমন্ত্রীর হলফনামা গ্রহণের নির্দেশ দেয়, সেক্ষেত্রে বৃহত্তর বেঞ্চ তা গ্রহণে বাধ্য হবে৷ ফলে মামলার অন্য দিকেও ঘুরে যেতে পারেন সেই কারণেই শীর্ষ আদালত নারদ মামলার শুনানি ২ দিন পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে৷

প্রসঙ্গত, নারদ-মামলা স্থানান্তরের আবেদনে CBI পক্ষভুক্ত করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ এই তিনজনকে মামলায় পক্ষভুক্ত করা সত্ত্বেও বৃহত্তর বেঞ্চ গত ৯ জুন CBI-এর আপত্তিতে মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীর পেশ করা হলফনামা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে৷ মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীর আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদিকে বৃহত্তর বেঞ্চ জানায়, ” সঠিক সময়ে পেশ না করার কারণে তাঁদের হলফনামা গ্রহণ করা হবে না৷ প্রয়োজনে সওয়ালের সময় রাকেশ দ্বিবেদি হলফনামার বিষয়বস্তু আদালতে বলতে পারেন৷

বৃহত্তর বেঞ্চের এই নির্দেশই চ্যালেঞ্জ করেই সর্বোচ্চ আদালতে মামলা করেছে রাজ্য সরকার এবং রাজ্যের আইনমন্ত্রী৷

Related articles

গাজায় সাংবাদিকসহ ১৯ জনের মৃত্যু! নীরব নেতানিয়াহু

দুর্ভিক্ষপীড়িত গাজায় ফের রক্তক্ষয়ী হামলা চালাল ইজরায়েলি সেনা। সোমবার দুপুরে গাজার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও...

শ্রমশ্রী প্রকল্পে ভুয়ো আবেদন রুখতে কড়া নজরদারি রাজ্যের 

ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত শ্রমশ্রী প্রকল্পে প্রকৃত ও যোগ্য প্রার্থীরাই সুযোগ পান, তা নিশ্চিত করতে বিশেষ...

আদিবাসী উন্নয়ন আরও সুদূর প্রসারি করার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, সৌজন্য উড়িয়ে বৈঠকে অনুপস্থিত বিজেপি

আদিবাসী উন্নয়ন নয়, রাজনীতিই যে তাদের লক্ষ্য তা আরও একবার প্রমাণ করল বিজেপি (BJP)। আমন্ত্রণ পেয়েও সৌজন্যের জবাব...

DHFC-র হারের পরই ক্লাব থেকে কর্তাদের ছোট করার চেষ্টা, জবাব দিলেন মানস

ডুরান্ড কাপের(Durand Cup) ফাইনালে পৌঁছে সকলকে চমকে দিয়েছিল ডায়মন্ডহারবার এফসি(DHFC)। বাংলার ফুটবলকে যে দল নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে, তাদের...
Exit mobile version