Sunday, August 24, 2025

সুইস ব্যাংকে(Swiss bank) ভারতীয়দের টাকা(Indian money) রাখার পরিমাণ এক লাফে অনেকটাই বেড়ে গেল। বিগত ১৩ বছরের মধ্যে সুইস ব্যাংকে ভারতীয় ব্যক্তি ও সংস্থার অর্থের পরিমাণ রেকর্ড হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, সুইজারল্যান্ডের ব্যাঙ্ক গুলিতে ২০২০ সালে ভারতীয়দের নগদের পরিমাণ বেড়েছে ২০ হাজার ৭০০ কোটি টাকারও বেশি। গ্রাহকদের নগদ আমানতের পরিমাণ কমলেও সিকিউরিটির মতো হোল্ডিংয়ের মাধ্যমে ভারতীয়দের সঞ্চয়ে এই বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি সুইৎজারল্যান্ডের(Switzerland) কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের বার্ষিক রিপোর্টে এই তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, সুইস ব্যাঙ্কগুলিতে ভারতীয় গ্রাহকদের মোট জমা টাকার পরিমাণ ২০১৯-র শেষে ৬,৬২৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২০,৭০০ কোটি টাকা। গত দুই বছরে এর পরিমাণ কমেছিল। কিন্তু ফের তা বেড়ে গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বাধিক অঙ্কে পৌঁছেছে। ২০০৬ সালে সুইস ব্যাংকে ভারতীয়দের জমার পরিমাণ রেকর্ড ৬.৫ বিলিয়ন সুইস ফ্র্যাঙ্কে পৌঁছেছিল। তারপর থেকেই তা নিম্নমুখীই ছিল। ২০১১,২০১৩ ও ২০১৭-তে এই নিম্নমুখী প্রবণতার ব্যতিক্রম ঘটেছিল। সুইস ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (এসএনবি)-র পরিসংখ্যান থেকে এই তথ্য জানা গিয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন ট্রাস্ট, বন্ড, সিকিউরিটি মানি বাবদ বিপুল পরিমাণ টাকা জমা পড়ে সুইস ব্যাংকে।

উল্লেখ্য, যে রিপোর্ট এদিন কেন্দ্রীয় সুইস ব্যাংকের তরফে প্রকাশ্যে আনা হয়েছে এগুলি বিভিন্ন ব্যাঙ্কের তরফে এসএনবি-কে প্রদত্ত রিপোর্ট। ভারতীয় সুইস ব্যাঙ্কে কালো টাকা গচ্ছিত রাখার বহুচর্চিত অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে এই তথ্য কোনও ইঙ্গিত দেয় না। তৃতীয় কোনও দেশের সংস্থার মাধ্যমে ভারতীয়, অনাবাসী ভারতীয় ও অন্যান্যদের সুইস ব্যাঙ্কগুলি রাখা অর্থ এর মধ্যে নেই। ভারতীয় গ্রাহকদের প্রতি সুইসজারল্যান্ডের এই ব্যাঙ্ক ‘সম্পূর্ণ দায়বদ্ধ’ তাই অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য ও আমানত কখনই প্রকাশ্যে আনা হয় না। সুইস ব্যাঙ্কগুলিতে বিদেশি গ্রাহকদের অর্থের দিক থেকে প্রথম স্থানে রয়েছে ইংল্যান্ড, দ্বিতীয় স্থানে আমেরিকা। ভারত রয়েছে ৫১ তম স্থানে।

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version