পারিবারিক বিবাদ দূরে রেখে দিনভর জল নিকাশিতে ব্যস্ত রত্না

তিনি জনগণের দ্বারা নির্বাচিত জন প্রতিনিধি। মানুষের পাশে থাকাই তাঁর প্রথম কর্তব্য। তাই পারিবারিক বিবাদকে দূরে সরিয়ে প্রতিকূল আবহাওয়ায় মানুষের মধ্যেই খুঁজে পাওয়া গেল তাঁকে। তিনি রত্না চট্টোপাধ্যায় (Ratna Chatterjee)। বেহালা পূর্বের (Behala East) নব নির্বাচিত বিধায়ক (MLA) ফি-বছর বর্ষাতে গোটা কলকাতার মতো জল জমার প্রবণতা দেখা যায় বেহালা চত্ত্বরেও। এ বছরও টানা বৃষ্টিতে নাজেহাল বেহালাবাসী। তাঁদের মুশকিল আসান করলেন রত্নাদেবী।

বেহালা পর্ণশ্রীর ১৩১নং ওয়ার্ড-এর কালচার মাঠ, কালীমাতা কলোনী, শান্তি সংঘের ইত্যাদি বিভিন্ন জায়গাতে জল জমে যাওয়ার মানুষ অত্যন্ত সমস্যায় ছিলেন। তাই নিজের ব্যক্তিগত জীবনে, নিজের পরিবারে যতই সমস্যা থাকুক, সেই সমস্ত দূরে সরিয়ে রেখে সাধারণ মানুষের ভোটে জিতে আসা বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায় সাধারণ মানুষকে আবার গুরুত্ব দিলেন। ভোটের আগে আপদে-বিপদে মানুষের পাশে থাকার যে অঙ্গীকার তিনি করেছিলেন, এবার অক্ষরে অক্ষরে সেই প্রতিশ্রুতি তিনি পালন করছেন।

১৩১-এর পর গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বেহালার ১২১ নম্বর ওয়ার্ডে জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বহু ঘরে ঠিকমতো রান্না হয়নি, ঘরবন্দী সাধারণ মানুষ। নিজে জলে নেমে ১২১ নম্বর ওয়ার্ড-এর অন্তর্গত সমস্ত অঞ্চল ঘুরে সাধারণ মানুষের কথা শোনেন রত্নাদেবী। কাল বিলম্ব না করে তিনি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের খবর পাঠান এবং ভাষা পাড়া অঞ্চলে জমে থাকা জল দ্রুত নিকাশের নির্দেশ দেন। দ্রুততার সঙ্গে তৎপরতার মধ্য দিয়ে প্রায় সমস্ত জমা জল নিকাশ করে এলাকা সচল করেন রত্না।

শুধু জল নিকাশ নয়, ১২০ নং ওয়ার্ড-এ নতুন দল ক্লাবের পরিচালনায় এই করোনা মহামারী আবহে দুঃস্থ ও পিছিয়ে থাকা কিছু মানুষের পাশে রত্না চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর রাজনৈতিক সহকর্মীরা এক খাদ্য বিতরণের আয়োজনও করেন।

এছাড়াও তাঁর অঞ্চলে করোনা আক্রান্ত কোনও মানুষ বা সেই পরিবারের পাশে খবর পেলেই দাঁড়াচ্ছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। সেই সমস্ত নিয়ম করে পরিবারে রান্না করা খাবার পাঠাচ্ছেন তিনি।

আরও পড়ুন- চিকিৎসার জন্য সস্ত্রীক বিদেশ পাড়ি রজনীকান্তের, উদ্বিগ্ন অনুরাগীরা

বেহালা পূর্বের বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “টানা বৃষ্টিতে জল জমে যাওয়ার জন্য অনেকেই বাড়ি থেকে বের হতে পারছিলেন না। বিশেষ করে দিন এনে দিন খাওয়া মানুষরা খুব সমস্যায় ছিলেন। এই কঠিন সময় আমি তাদের পাশে থাকতে পেরে ভালো লাগছে। এই ভাবে আমাকে সকলে সাহস, ভালোবাসা আর আশীর্বাদ দিয়ে যাবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার অনুপ্রেরণা। তাই কথা দিলাম, ৩৬৫ দিন ২৪ ঘন্টা আপনাদের সেবায় হাজির থাকবে রত্না।

 

Previous articleশনিবার হাইকোর্ট চালু, প্রতিবাদে আইনজীবীরা
Next articleস্কুলের বেতন দিতে না পারলেও কাটা যাবে না পড়ুয়ার নাম, নির্দেশ হাইকোর্টের