শরীরে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী কী খাবেন , জেনে নিন

হাতে সময় খুব কম । কোনওমতে কিছু খেয়ে ফের কাজে বসতে হবে। কী খাবেন?
স্যান্ডুইচ, বার্গার, প্রসেসড্ ফুড, জাঙ্ক বা ফাস্ট ফুড ভরসা। বাড়ি ফিরে রান্নাবান্নার বালাই নেই। খাবাের অ্যাপ আছে। অর্ডার দিলেই হল। হজম না হলে মুঠোমুঠো অ্যান্টাসিড খেয়ে নেওয়া যাবে। অফিস অফিস শেষ হলে ক্লান্ত শরীরটাকে টেনে নিয়ে যেতে যেতে প্রায়ই বারে ঢুঁ দেওয়াটা অভ্যাসে পরিণত করেছেন? বার না হলেও বাড়িতে ব্যবস্থা রাখতে হয়। সপ্তাহান্তে পার্টি আছে।

সব মিলিয়ে যে খাবারের জন্য মানুষ এত পরিশ্রম করে সেই খাবারটাই শরীরে ঠিক মতো যায় না। যেটা যায় তা পুষ্টিকর নয়। তেল-মশলা, চর্বি, অ্যালকোহল নিয়মিত খাওয়ার ফলে যা হওয়ার তাই হয়। শরীরের জমে চর্বি। কোলেস্টেরলের সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের মতো মারাত্মক কিছু একটা যে কোনও সময় ঘটে যেতে পারে। এমন ঘটনা আকছাড় ঘটছে।

কিন্তু জানেন কী সুস্থ থাকতে গেলে শরীরের ভিতর কোলেস্টেরলকে দূর করতে হবে ।

কোলেস্টেরল (cholesterol) তিন প্রকার। ভালো কোলেস্টেরল (HDL), খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) এবং ট্রাইগ্লিসারাইড কোলেস্টেরল। শেষেরটি সবচেয়ে মারাত্মক। শরীরকে অসুস্থ করতে খারাপ কোলেস্টেরলের থেকেও ট্রাইগ্লিসারাইড কোলেস্টেরল বেশিমাত্রায় দায়ি থাকে।

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কোলেস্টেরল (cholesterol) সরাসরি হার্টে আঘাত করে। হার্টের রক্তচলাচল বন্ধ করে দিয়ে মৃত্যুমুখে ঠেলে দেয়।

বয়স হলে, অসংযমী জীবনযাত্রা, ওজন বৃদ্ধি, মাদক এবং অ্যালকোহলের অতিরিক্ত ব্যবহার বংশানুক্রম প্রভৃতি নানা কারণে শরীরের কোলেস্টেরল জমা হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ তো নিতেই হবে। তার চেয়ে রোগ আগে থেকেই একটু প্রতিরোধের চেষ্টা করা যাক?

গ্রিন টি

শরীরের জন্য সবচেয়ে উপকারী হল গ্রিন টি। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনোল। এই যৌগটি শরীরের নানা উপকারে লাগে। নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলগুলি কমে এবং ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পায়। দিনে দুই থেকে তিন কাপ গ্রিন টি পান করা স্বাস্থ্যকর।

রসুন

বাঙালি রান্নায় রসুনের ব্যবহার যথেষ্ট পরিমাণে হযে থাকে। রসুনে থাকে অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, এবং অর্গানোসালফার যৌগ। এগুলির জন্য শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল দূর হয়। প্রতিদিন অর্ধেক কিংবা একটি রসুন রোজ খেলে খারাপ কোলেস্টেরল ৯ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।

আমলকি

আমলকিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ এবং ফেনোলিক যৌগ। থাকে খনিজ পদার্থ এবং অ্যামিনো অ্যাসিডও। প্রাচীন কাল থেকেই ভারতীয় আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় আমলকির ব্যবহার চলে আসছে। নিয়মিত আমলিক খেলে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল প্রতিরোধ করা যায়। দিনে একটি বা দুটি গোটা আমলকি রোগকে আপনার কাছ থেকে দূরে রাখবে।

ধনে

ক্ষতিকর কোলেস্টেরেলকে শরীর থেকে দূর করতে ধনে বীজেরও জুড়ি মেলা ভার। আপাত নিরীহ এই মশলাটির ভেষজ গুণ ভয়ানক। এতে আছে একাধিক ফলিক অ্যাসিড, ভিামিন ‘এ’, বিটা -ক্যারোটিন এবং ভিটামিন ‘সি’-এর মতো প্রয়োজনীয় ভিটামিন।

মেথি

ধনের মতোই উপকারী মশলা হল মেথি। রান্নায় এটি স্বাদ আনতে যেমন পটু, তেমনই দক্ষ ভেষজ গুণ প্রয়োগে। মেথি বীজে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘ই’, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রপার্টিজ। মেথি শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে আর এর ফাইবার লিভারের সংশ্লেষণ কমায়। প্রতিদিন এক চামচ মেথি খেলে শরীর সুস্থ থাকে।

 

Previous articleজনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে ২ সন্তান নীতি, উত্তরপ্রদেশে কড়া আইনের পথে যোগী সরকার
Next articleজল্পনা বাড়িয়ে রবিসন্ধ্যায় ধনকড় সাক্ষাতে শুভেন্দু, হিংসা ইস্যুতে ফের টুইটবাণ রাজ্যপালের