Wednesday, August 27, 2025

CAA- বিরোধী হিংসার ছবি পোস্ট করে কোন বার্তা দিলেন দিলীপ ঘোষ? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে

Date:

রাজ্যে CAA চালু করা নিয়ে জল্পনা বাড়ালেন বঙ্গ-বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)৷

CAA-ইস্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন দিলীপবাবু। ওই পোস্টে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন রাজ্যে হিংসার ঘটনার কথা ভোলেনি বিজেপি। যে হিংসার ঘটনা ঘটেছিল, সেগুলি মনে করিয়ে দিয়েই তিনি লিখেছেন, “আমরা ভুলিনি। ভুলব না।” ফলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কি এ বার বাংলায় CAA কার্যকর করতে সক্রিয় হতে চলেছে বিজেপি (BJP)?

একুশের বিধানসভা ভোটের প্রচারে রাজ্যে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বলেছিলেন, “গোটা দেশে টিকাকরণ কর্মসূচি সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা CAA কার্যকর করা সম্ভব নয়।” কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ভোটে হারার পর বিজেপি এই কথা থেকে সরে এসেছে৷ গেরুয়া নেতাদের অনেকেই এখন CAA প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ এই নিয়ে সুর চড়িয়েছেন। আর সেই জল্পনা উস্কে দিয়েই CAA নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
প্রসঙ্গত, সংসদে CAA পাশ হওয়ার পরই প্রথম ক্ষোভের আগুন জ্বলে এই রাজ্যেই৷ সেই সব ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ফেসবুকে একটি লম্বা পোস্ট করে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “নাচায় পুতুল যথা দক্ষ বাজিকরে/নাচাও তেমনি তুমি অর্বাচীন নরে৷

আরও পড়ুন-‘পুর-ভোটে কং-বাম জোট নিয়ে কিছু বলার ক্ষমতা আমার নেই’, জানালেন অধীর

উদ্বাস্তুদের প্রাণ রক্ষা করার জন্য তৈরি করা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সম্পর্কে অপপ্রচার করে কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তি দেশের বহু সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে দেশে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করেছিল। উদ্বাস্তু এবং অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে আইনি তফাৎ গড়ে তোলা এবং ভিন দেশে পাশবিক অত্যাচারের সম্মুখীন শরণার্থীদের প্রাণ রক্ষা করার জন্য ভারতের সংসদে সাংবিধানিকভাবে পাস হওয়া আইনের বিরোধিতা করে কিছু সমাজবিরোধী তত্ত্ব পশ্চিমবঙ্গ তথা পুরো ভারতবর্ষে সরকারি সম্পত্তিতে আগুন জ্বালিয়ে দেশকে কালিমালিপ্ত করে সমাজকে অশান্ত করার চেষ্টা করে। ট্রেন জ্বালিয়ে দেওয়া, সহিংসতার সেই দৃশ্যগুলো আমরা ভুলিনি। ভুলবো ও না। আমরা এটাও ভুলব না, এই দেশের ভিত্তি প্রোথিত আছে সংস্কৃতির আধারে।
নিজ ধর্ম তথা নিজের সম্মান রক্ষার্থে যারা ভারতের শরণাপন্ন হয়েছে, যে ভারত শ্রী রাম, গৌতম বুদ্ধ, মহাবীর এবং গুরু নানকের জন্মভূমি, সেই ভারত তাঁর সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী মানুষকে কখনো ফিরিয়ে দেবেনা।”

রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বিজেপি ভোটে হেরে যাওয়ার পরেও বাংলায় নিজেদের অস্তিত্ব টিঁকিয়ে রাখতেই এবার CAA-কেই হাতিয়ার করছে। হঠাৎ এই পোস্টের পরই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি কেন্দ্রীয় সরকার শীঘ্রই বাংলায় দ্রুত CAA কার্যকর করতে চাইছে?
এই পোস্টের পর স্বাভাবিকভাবেই এই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্যজুড়ে৷

 

Related articles

বিরক্ত মিঠুন? এড়াচ্ছেন বঙ্গ বিজেপির একাধিক কর্মসূচি

বারবার রং বদল করে আপাতত গেরুয়াতে ঠেকেছেন ডিস্কো ড্যান্সার মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। ভোটের আগে বা বিজেপির. (BJP)...

আরজি কর কাণ্ডে ভুয়ো প্রচারের অভিযোগ! নোটিশ চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীকে

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক পড়ুয়া অভয়ার মৃত্যুকে ঘিরে ভুয়ো প্রচার মামলায় নোটিশ ধরাল কলকাতা পুলিশ। পুলিশের...

দুর্গাপুজোর আগে রাজ্যে ডেঙ্গি-উদ্বেগ! টানা বৃষ্টিতে বাড়ছে আশঙ্কা 

দুর্গোৎসবের মুখে একদিকে নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টি, অন্যদিকে ডেঙ্গি সংক্রমণ রাজ্যবাসীর কপালে ভাঁজ বাড়াচ্ছে। জুলাইয়ের শেষ দিক থেকে...

মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টলে হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রী! কিনলেন শাড়ি 

বর্ধমানে প্রশাসনিক সভায় এসে হঠাৎ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টলে হাজির মুখ্যমন্ত্রী। শুধু মহিলাদের হাতের কাজই ঘুরে দেখলেন না, কেনাকাটাও...
Exit mobile version