জ্বালানির করের টাকায় করোনায় মৃত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিক কেন্দ্র,তোপ রাহুলের

পেট্রোল-ডিজেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী । দিন যত গড়াচ্ছে, জ্বালানির দাম তত বাড়ছে। আর জ্বালানির করের টাকায় রাজকোষ পূর্ণ হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের । এবার সেই করের টাকায় করোনার মৃত পরিবারদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানালেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। তাঁর জিজ্ঞাসা, কেন্দ্র পেট্রল-ডিজেল থেকে চার লক্ষ কোটি টাকা কর পাচ্ছে। তাহলে করোনায় মৃতদের ক্ষতিপূরণের জন্য আলাদা তহবিল হবে না কেন?

মঙ্গলবার চাঁচাছোলা ভাষায় কেন্দ্রের সমালোচনা করেন রাহুল গান্ধী । তিনি জানান, যারা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন , কেন্দ্রের আদায় করা জ্বালানির করের টাকার মধ্যে তাদের টাকাও আছে। তাহলে কেন মৃতের পরিবার সেই জ্বালানির করের টাকায় ক্ষতিপূরণ পাবে না? কেন তাদের ক্ষতিপূরণের জন্য পৃথক তহবিল গঠন করতে হবে? এই প্রশ্নও তুলেছেন রাহুল।

মঙ্গলবার করোনার ‘মিস-ম্যানেজমেন্ট’ নিয়ে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করে কংগ্রেস (Congress)। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাহুল বলেন, করোনা শুধু একটি জৈবিক রোগ নয়। এর প্রভাব অর্থনৈতিক-সামাজিক ক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী। অথচ এই বিষয়ে বিরোধীদের কথায় কর্ণপাত করছে না মোদি সরকার। অথচ তাদের উচিত বিরোধীদের কথা শোনা এবং করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া।

প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, কোভিডের (Covid-19) দ্বিতীয় ঢেউ যদি খারাপ হয়ে থাকে, তাহলে করোনার তৃতীয় ঢেউ আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির সামনে আমাদের দাঁড় করাবে। আর সেই ভয়াবহ পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সরকারকে সাহায্য করার জন্যই এই শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে কংগ্রেস।

প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির দাবি, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ অনেক অনভিপ্রেত মৃত্যু ডেকে এনেছে । হয়তো সতর্ক থাকলে তা এড়ানো যেত। রাহুল জানিয়েছেন, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে তিনি বুঝতে পেরেছেন যে করোনায় মৃতের তালিকায় যেমন প্রবীণরা আছেন, তেমনি কো-মর্বিডিটি আছে । কিন্তু বাস্তব চিত্র অন্য কথা বলছে । কারণ, অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে, অক্সিজেনের অভাবে। অথচ দেশে অক্সিজেনের ঘাটতি নেই। আমরা ওদের বাঁচাতে পারিনি, এটা আমাদের ব্যর্থতা । প্রধানমন্ত্রীর ‘কুম্ভীরাশ্রু’ স্বজনহারাদের চোখের জল মুছতে পারবে না। মৃতদের পরিবারের পরিজনরা প্রধানমন্ত্রীর চোখের জল চায় না, অক্সিজেন চায়।

নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে রাহুলের কটাক্ষ, সকলেই জানেন প্রধানমন্ত্রী দরকারের সময় ভোটপ্রচারে ব্যস্ত ছিলেন। ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে গিয়ে দেশের বাস্তব পরিস্থিতির কথা বেমালুম ভুলে গিয়েছেন।

কেন্দ্রীয় সরকারের টিকাকরণ নীতি (Vaccination) নিয়েও এদিন প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল। তার কটাক্ষ, ভারতই একমাত্র দেশ, যেখানে টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে। আর প্রধানমন্ত্রীর তাতে ভ্রুক্ষেপ নেই। তিনি নিজের মার্কেটিং করে যাচ্ছেন। কখনও তালি বাজানো, কখনও থালি বাজানো, কখনও প্রদীপ জ্বালানো! এসব করোনাকে হারিয়ে দেওয়ার পর করলে ভাল হতো । দেশের মানুষকে যতটা বোকা মনে করা হচ্ছে, আদতে তা কিন্তু নয় । কেন্দ্রের এই ভাঁওতাবাজি সবাই ধরে ফেলেছে ।

 

 

 

Previous articleদেশে নিম্নমুখী করোনা সংক্রমণের গ্রাফ, ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪২,৬৪০
Next articleএক তরফা শুনে বিচার করবেন না, এখনো কত কাজ বাকি, জোড় হাতে আবেদন ‘ ক্লান্ত ‘ কাঞ্চনের