বর্ষায় চাপড়ামারি ও মেদলা নজরমিনার খোলা রাখার আর্জি পর্যটন মন্ত্রীর কাছে

উত্তরবঙ্গে সফররত পর্যটন মন্ত্রীর কাছে বর্ষায় চাপড়ামারি ও মেদলা নজরমিনার খোলা রাখার আবেদন করলেন রিসর্ট মালিক ও জিপসি চালকরা। প্রায় লকডাউন পরিস্থিতিতে বিপন্ন ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসাও। চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটছে রিসর্ট মালিকদের। গত ১৬ জুন থেকে প্রতি বছরের ন্যায় তিন মাসের জন্য সমস্ত জঙ্গল বন্ধ হয়ে যায়। জঙ্গল বন্ধ থাকায় পর্যটকদের দেখা নেই। দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গল বন্ধ থাকার জন্য সমস্যায় পড়েছে জিপসি চালক সহ রিসর্ট মালিকেরা। মূলত গরুমারা ও চাপড়ামারি জঙ্গলকে কেন্দ্র করে মূর্তি, ধুপঝোরা, চালসা, বাতাবাড়ি, মঙ্গলবাড়ি, মাথাচুলকা এলাকার পর্যটন ব্যাবসা চলে। টানা এই জঙ্গল বন্ধের জেরে পর্যটক না আসায় ওই সমস্ত এলাকার অর্থনৈতিক অবস্থার আরো অবনতি হবে এমনটাই মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বর্ষার তিন মাস চাপরামরি ও গরুমারার মেদলা নজর মিনার পর্যটকদের জন্য খোলা রাখার আবেদন জানানো হলো এদিন।

সেই উদ্দেশ্যে আজ রিসোর্ট মালিকদের সংগঠন গরুমারা টুরিসাম ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ও মূর্তি জিপসি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

এদিন সকালে মূর্তি বাতাবাড়ি ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সে গিয়ে দুই সংগঠনের প্রতিনিধিরা মন্ত্রীকে ওই লিখিত কপি জমা দেন। মন্ত্রী প্রয়োজনীয় বাবস্থ্যা নেওয়ার আশ্বাস দেন। সংগঠনের তরফে জানানো হয়, চাপড়ামারি ও মেদলা নজরমিনার দুটো মূল জঙ্গল থেকে অনেকেটাই বাইরে। গত বছর বর্ষায় চাপরামরি নজরমিনার পর্যটকদের জন্য খোলা ছিল। গত বছরের মতো এ বছরও যাতে সেগুলো খোলা রাখা হয় সেই বিষয়ে এদিন মন্ত্রীকে জানানো হয়। এর আগেও ওই দুই সংগঠনের তরফে দাবির কথা বনমন্ত্রীকেও পাঠানো হয়েছে।

জঙ্গল বন্ধের সময়ে জিপসি গাড়ির কর মকুবের আবেদনও জানানো হয় এদিন। এদিনের এই স্মারকলিপি প্রদানে উপস্থিত ছিলেন রিসোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দেবকমল মিশ্র, সভাপতি তজমল হক, সোনা সরকার, মহেশ্বেতা রায়, জিপসি অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সামিন আহমেদ ফেরদৌস, পরিচালক মজিদুল আলম প্রমুখ। পর্যটন ব্যবসায়ীদের আশা মন্ত্রী তাদের দুর্দশার কথা মাথায় রেখে সবার ভালোর জন্য কোনো একটি পদক্ষেপ অবশ্যই গ্রহণ করবেন।