ভারতেই লুকিয়ে রয়েছেন বাংলাদেশের বিতাড়িত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লিগের আরও নেতা মন্ত্রীদের লুকিয়ে থাকার সন্দেহও প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। তারই মধ্যে ঘোষণা হয়েছে নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনে যাতে আওয়ামী লিগ (Awami League) কোনওভাবে নাক না গলাতে পারে, তাই ভারত বিশেষত দিল্লীকে কড়া বার্তা দেওয়া শুরু বাংলাদেশের (Bangladesh)। এবার পাল্টা ভারতের তরফ থেকে দাবি করা হল আওয়ামী লিগের কোনও ধরনের বাংলাদেশ বিরোধী কার্যকলাপে ভারতের কোনও সমর্থন নেই। যদিও ঘুরিয়ে কথা বললেও ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (Ministry of External Affairs) স্বীকার করেনি যে আওয়ামী লিগ নেতাদের ভারত আশ্রয় দেয়নি।
বাংলাদেশের সুস্থ এবং স্বাধীন নির্বাচন হোক, দাবি ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের (MEA)। আওয়ামী লিগকে সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে সরিয়ে ফেলে যে একপেশে নির্বাচন সংঘটিত করতে চলেছে মহম্মদ ইউনূসের (Mohammed Yunus) অন্তর্বর্তী সরকার, তাকে যে ভারত সমর্থন করে না স্পষ্ট করে দিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।
সম্প্রতি বাংলাদেশের তরফে প্রেস বিবৃতি জারি করে দাবি করা হয়, ভারতের রাজধানী দিল্লি এবং কলকাতায় বাংলাদেশ বিরোধী কার্যকলাপ চালাচ্ছে আওয়ামী লিগ। তাদের বিভিন্ন সদস্য আইনি ও বেআইনিভাবে ভারতে বাস করছে। দিল্লি প্রেস ক্লাবে তারা বাংলাদেশ বিরোধী বুকলেট ছড়িয়েছে। ভারত সরকারকে দ্রুত এই বাংলাদেশ বিরোধী কার্যকলাপ বন্ধ করে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লিগ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যের পাঠ্যপুস্তকে বাদ কেন রবীন্দ্রনাথকে? সাংসদ ঋতব্রতর প্রশ্নে অস্বস্তিতে কেন্দ্র
পাল্টা ভারতের বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দেয়, ভারতের মাটিতে আওয়ামী লিগ (Awami League) সদস্যরা কোনও বাংলাদেশ বিরোধী কার্যকলাপ চালাচ্ছে এমন খবর ভারতের কাছে নেই। ভারতের আইনের বিরোধী কোনও কাজ হচ্ছে বলেও ভারত সরকার জানে না। বাংলাদেশ সরকারের তরফে জারি করা প্রেস বিবৃতি ভুল তথ্যের ভিত্তিতে দেওয়া বলেও দাবি করা হয়। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দাবি জানানো হয় ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে যে, বাংলাদেশে যেন যত দ্রুত সম্ভব স্বাধীন এবং সমস্ত নাগরিকের ভোটাধিকার ও মতদানের ভিত্তিতে নির্বাচন সংঘটিত করা হয়।
–
–
–
–
–