বাংলায় দুর্গাপুজোর সূচনা ১৬০৬ সালে রাজা কংস নারায়ণের হাত ধরে। পরে ১৮৩২ সালে কাশিমবাজারের রাজা হরিনাথ কলকাতায় সর্বজনীন দুর্গোৎসবের প্রবর্তন করেন। তবে আজকের পাড়ায় পাড়ায় সর্বজনীন পুজোর রীতি শুরু হয় ১৯১০ সালে ভবানীপুরের সনাতন ধর্মৎসাহিনী সভার উদ্যোগে। সেই পথ চলার ১১৫ বছরের বিবর্তনের ইতিহাস এবার উঠে এল এক বইয়ের পাতায়।
ইউনেস্কোর স্বীকৃতিকে মাথায় রেখে কলকাতার দুর্গোৎসব আজ বিশ্বজনীন উৎসব। শহরের পথে পথে ওপেন আর্ট ইনস্টলেশনের ঝলক ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের নানা প্রান্তে। ভিনরাজ্যের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও পর্যটকেরা ভিড় জমাচ্ছেন কলকাতায়। এই বিশ্বজনীনতার আবহেই বইটির প্রতিটি অধ্যায় সাজানো হয়েছে একই মলাটে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায়। উদ্দেশ্য, বাংলার দুর্গোৎসবের ৪৩৪ বছরের সমৃদ্ধ ইতিহাসকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া ভিনদেশি ও অবাঙালি পাঠকদের কাছে।
কলকাতার নামী ও জনপ্রিয় পুজো কমিটির সংক্ষিপ্ত পরিচয়, থিমের বিবরণ, আলোকসজ্জা, শিল্পীদের গল্পের সঙ্গে বইতে জায়গা পেয়েছে কুমোরটুলির কাহিনি। আছে ৫১টি বনেদি বাড়ির অজানা পুজো-উপাচারের তথ্যও। ইতিহাসের ঝাঁপি খুলে ধরা হয়েছে স্বাধীনতা আন্দোলনে কলকাতার দুর্গোৎসবের ভূমিকা নিয়ে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কীভাবে ক্লাবগুলিকে সংগঠিত করেছিলেন ইংরেজদের বিরুদ্ধে—তারও ঝলক রয়েছে বইটিতে।
পুজো সাংবাদিকতার ২৫ বছর পূর্তিতে দীপ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত সম্রাট চট্টোপাধ্যায়ের এই অষ্টম তথা শেষ বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে বাংলার প্রতিটি পুজোপাগল মানুষকে। ১৬০ পৃষ্ঠার বইটির মূল্য ২৫০ টাকা। ২৫ আগস্ট থেকে কলেজ স্ট্রিটের দীপ প্রকাশনের দোকানে মিলবে বইটি। এছাড়া অনলাইনে Amazon ও Flipkart থেকেও সংগ্রহ করা যাবে।
আরও পড়ুন- নোবেল খুঁজতে ব্যর্থ CBI, রাজ্য পুলিশ উদ্ধার করল বুলার পদ্মশ্রী: পুলিশও পদক পাক চান সাঁতারু
_
_
_
_
_
_