রাজধানীতে (New Delhi) সাড়ে ৩ ঘণ্টার হাইভোল্টেজ মিটিং (High voltage making)। গত কয়েকদিন ধরে এই বৈঠক নিয়ে রাজধানীর রাজনীতি ছিল উত্তপ্ত। কারণ, ২০১৯-এর সেই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের পর এই প্রথমবার উপত্যকার নেতা ফারুক আব্দুল্লা (ex Chief minister 0mar Abdullah), মেহবুবা মুফতিদের
এ দিনের বৈঠক সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘কাশ্মীরের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে বৈঠক আদতে উন্নয়নের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কাশ্মীরের নেতাদের তিনি বলেছেন, ‘কাশ্মীরের মানুষ, বিশেষত যুব সমাজের আশা পূরণ করা হবে।’
অন্য দিকে, বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, “কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ নিয়ে সুপরিকল্পিত আলোচনা হয়েছে । তিনি টুইটে লিখেছেন, ‘কাশ্মীরের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে চাই আমরা। শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হবে কাশ্মীরে।’ রাজ্যের স্বীকৃতি ফেরানোর ক্ষেত্রেও প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।
শুধু প্রধানমন্ত্রী , স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই নন, এদিন বৈঠক শেষের পর বাইরে এসে কাশ্মীরের সব নেতা-নেত্রীরা সদর্থক বার্তা দিয়েছেন। এদিন আপনি পার্টির সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ আলতাফ বুখারি জানিয়েছেন, “কাশ্মীরে ভোটের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে আমরা কাশ্মীরকে রাজ্যের তকমা ফিরিয়ে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ বৈঠক নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বুখার বলেন, ‘ভাল পরিবেশে আজ সদর্থক কথাবার্তা হয়েছে।’
একই কথা বলেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (Jammu and Kashmir National conference leader) ওমর আব্দুল্লা। তিনি বলেন, ” প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দু’জনেই আশ্বাস দিয়েছেন যত শীঘ্র সম্ভব রাজ্যের তকমা ফেরানো হবে ও নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হবে।’ ‘দিল কি দূরি’ ও ‘দিল্লি কি দূরি’ মেটানোর পথে যে কেন্দ্র এগোচ্ছে সে কথাও জানিয়েছেন ওমর আব্দুল্লা।
বৈঠকে শেষে মেহবুবা মুফতি জানান, তিনি বৈঠকে ৩৭০ ধারা বা স্পেশাল স্টেটাস ফেরানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এটা কাশ্মীরের আত্মপরিচয়ের প্রশ্ন। আমরা এই স্টেটাস পাকিস্তান থেকে পাইনি, ভারত সরকার আমাদের দিয়েছে। নেহরু আমাদের দিয়েছেন। তাই আমরা চাই কয়েক মাস লাগুক বা বছর, ৩৭০ ধারা ফেরাতেই হবে।’