কসবাকাণ্ড: পুরসভার জয়েন্ট কমিশনারের নামে ওষুধ তুলতেন দেবাঞ্জন

ভুয়ো আইএএস (Ias) অফিসারের কীর্তির শিকড় যে কত গভীরে তা তদন্তে নেমে টের পাচ্ছে পুলিশ (Police)। শুধু ভুয়ো শিবির চালানোই নয়, শিবিরে যে ভ্যাকসিন (Vaccine) দেওয়া হত তাও করোনার ভ্যাকসিন নয়- এতদিনে তা সামনে এসেছে। জেরায় ধৃত জানিয়েছেন, তিনি ভ্যাকসিন কিনতেন মেহেতা বিল্ডিং থেকে। কিন্তু এত দামের ভ্যাকসিন কীভাবে কিনতেন তিনি? মেহেতা বিল্ডিংয়ের একটি ওষুধের দোকান থেকে ভুয়ো ভ্যাকসিন ও ইঞ্জেকশন কিনেছিলেন প্রতারণাকাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জন দেব (Debanjan Dev)। তদন্তে জানা গিয়েছে, দুদফায় মেহেতা বিল্ডিংয়ের ওষুধের দোকান থেকে ইঞ্জেকশন কিনেছিলেন তিনি। সব টাকা দেওয়া হয়নি বলে দাবি কর্ণধারের। তাহলে এত টাকার ইনজেকশন একবারে তাঁকে কেন দেওয়া হল? অভিযোগ, পুর অফিসার পরিচয়েই মেহেতা বিল্ডিং ওই দোকান থেকে ইঞ্জেকশন কেনেন অভিযুক্ত। দেবাঞ্জনের অফিস থেকে মিলেছে পুরসভার জাল স্ট্যাম্প (Stamp), লেটারহেড।

অভিযোগ, পুরসভার জয়েন্ট কমিশনার পরিচয় দিয়ে মেহেতা বিল্ডিংয়ের ওই দোকান থেকে ইঞ্জেকশন কিনেছিলেন দেবাঞ্জন দেব। ভুয়ো কাগজ তৈরি করে ওই ইঞ্জেকশন কেনা হয়। প্রথম দফায় ২২ হাজার টাকা দিলও এখনও টাকা বকেয়া রয়েছে বলে দাবি দোকানের কর্ণধার সঞ্জয় কুমার মুকিমের। পুলিশ সূত্রে খবর, দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দেবাঞ্জন কবে ওই দোকানে গিয়েছিলেন- তা জানার চেষ্টা চলছে।

জেরায় দেবাঞ্জন স্বীকার করেছেন, ২৫ লক্ষ টাকা খরচ করে ১ বছর ধরে প্রতারণার জাল ছড়িয়েছিলেন তিনি। করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পরেই পিপিই কিট, মাস্কের ব্যবসা করবেন বলে ঠিক করেন। পরে রাজনৈতিক যোগাযোগ বাড়িয়ে একের পর এক ভ্যাকসিন ক্যাম্পের আয়োজন করতে থাকেন। স্পুটনিকের ভায়ালের লেবেলের ফটোকপি লাগিয়ে প্রতারণা করা হয়। কোভিশিল্ডের ক্ষেত্রে নিজেই কম্পিউটারে জাল লেবেল তৈরি করেন দেবাঞ্জন। এখন আর কী কী প্রতারণা খবর সামনে আসে সেটাই দেখার।

 

Previous articleহাসপাতালের কেবিনে সহকর্মীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার চিকিৎসক
Next articleবাড়ছে মেট্রোর সংখ্যা, ৪০ থেকে বেড়ে হচ্ছে ৬২