Sunday, August 24, 2025

খায়রুল আলম (ঢাকা) : ফেসবুকে ‘হাহা’ ইমোজির ব্যবহার নিয়ে ফতোয়া জারি করলেন বাংলাদেশের এক মৌলবি। গত ১৯ জুন ফেসবুকে দেওয়া তার এই ভিডিও বক্তব্য ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। তার বক্তব্য এই ইমোজির মাধ্যমে অন্য কাউকে বিদ্রুপ করা ইসলাম-বিরোধী। তাই তিনি সকলকে হাহা-র ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। সমালোচনার পাশাপাশি নেটাগরিকদের একটা অংশ ওই পোস্ট ভরিয়েছেন ‘হাহা’ ইমোজিতেই।

ফেসবুকের মাধ্যমে আলোচনায় আসা ফতোয়া দেওয়া ওই মৌলবির নাম আহমাদুল্লাহ (Ahmadullah)। ফেসবুক এবং ইউটিউবে তার ফলোয়ার সংখ্যা ২২ লক্ষেরও বেশি। ধর্মীয় বিষয়ে আলোচনার জন্য বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন তিনি। নেটমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় আহমাদুল্লাহ বলেছেন , ‘কাউকে নিয়ে হাসাহাসি বা ঠাট্টা করা সম্পূর্ণ ইসলামবিরোধী। এই কাজ করা পাপ।’

হাসি ঠাট্টার বিষয় নিয়ে তিনি বলছেন, কেউ যদি কোনও হাসির বিষয় নিয়ে পোস্ট করেন তা হলে ঠিক আছে। না হলে হাহা ইমোজির মাধ্যমে কোনও মুসলমানের প্রতি বিদ্রুপ বা ব্যঙ্গ করা ইসলামের চোখে অত্যন্ত ঘৃণ্য কাজ। আমি অনুরোধ করছি, হাহা’ থেকে নিজেদের বিরত রাখুন। বদলে যুক্তির মাধ্যমে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন। এই ইমোজির ব্যবহার থেকে সবাইকে বিরত রাখতে ফতোয়া জারি করার কথাও বলেছেন তিনি। এই বিষয়টি নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই নেটাগরিকরা বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। তাদের বড় একটা অংশই হাহা’ ইমোজি দিয়ে এই ফতোয়ার বিরোধিতা করেছেন। অনেকেই আবার তাকে নিয়ে বিভিন্ন কুৎসামূলক বক্তব্যও দিচ্ছেন।

Md Mohaimin নামে একজন এভাবেই মন্তব্য করেছেন : মুহতারাম আপনি আপনার মূল্যটা এখনো বুঝতে সক্ষম হননি। বুঝলে সামান্য ফেসবুকের হাহা রিয়াক্ট নিয়ে কোন পোস্ট করতেন না। (এটা আমার ব্যক্তিগত মত) প্লিজ নিজের মূল্যবোধকে ধরে রাখুন। AR Raffehaan নামে আরো একজন লিখেছেন; প্রিয় শায়খ Ahmadullah স্যার!

আরও পড়ুন-রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে পাগলা হাতির সঙ্গে তুলনা মদনের

আপনি এখানে ‘কিয়াম না করা’ মর্মে আপনার ব্যক্তিগত মতামত প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে ‘কুরআন পড়তে গিয়ে লাফানো, ফ্যানে ঝুলা” ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করেছেন।তাহলে কি আমরা এটা ধরে নিবো যে,আপনি মজা দেয়ার জন্য দর্শকদের উদ্দেশ্যে শব্দগুলো ব্যবহার করেছেন,তারা এতে মজাও পেয়েছে তাই আপনার কাজ জায়েজ???
নাকি ,যারা ‘কিয়াম’ করে থাকেন তারা আপনার বিদ্রুপের দ্বারা অন্তরে কষ্ট পেয়েছেন,তাই আপনি ‘হারাম’ কাজ করেছেন— এটা ধরে নিবো??
জানতে আগ্রহী।

 

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version