ফের নজরে নন্দীগ্রাম: ভোটারের থেকে ভোট পড়েছে বেশি!

নির্বাচন কমিশনের নথি বলছে মোট ভোটার ৬৭৬। কিন্তু ভোট পড়েছে ৭৯৯। চমকে দেওয়ার মতো এই ঘটনা ঘটেছে নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ার এস এন রায় স্কুলের বুথে। যদিও এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের কারসাজি রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। তাদের বক্তব্য, নন্দীগ্রামের একাধিক জায়গায় গরমিল হয়েছে।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের দিনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নন্দীগ্রামে ভোটে কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন। পরে এই বিষয়ে হাইকোর্টে মামলাও করেছেন তিনি। সেই মামলা বর্তমানে বিচারাধীন। এর মধ্যে বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ার এস এন রায় স্কুলের বুথের ‘অ্যাকাউন্ট অব ভোটস রেকর্ডেড’-এ স্পষ্ট লেখা রয়েছে ওই বুথে মোট ভোটার সংখ্যা ৬৭৬। কিন্তু ভোট পড়েছে ৭৯৯। তাতেই সই করেছেন প্রিসাইডিং অফিসারও। আশ্চর্য!

একুশের হাইভোল্টেজ নির্বাচনের ফলপ্রকাশের দিন গোটা রাজ্যের নজর ছিল নন্দীগ্রামের দিকে। তৃণমূল সুপ্রিমোকে বিরুদ্ধে হারানোর চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী(Shuvendu Adhikari)। ভোটগণনার দিন সকাল থেকেই লড়াই জমে উঠেছিল। প্রথমে শুভেন্দু এগিয়ে গেলেও পরে তাকে টপকে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্ধে নাগাদ সংবাদ সংস্থা এএনআই(ANI) জানায়, নন্দীগ্রামে ১২০০ ভোটে জিতে গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। পরে রিটার্নিং অফিসার ঘোষণা করেন, মমতাকে ১৯৫৬ ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। গণনায় গরমিলের অভিযোগ তোলে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন,’আমি আদালতে যাব। আমার কাছে খবর আছে, ভোটের ফল ঘোষণার পর কারচুপি হয়েছে। সেটা খুঁজে বের করব।’ সেই মামলা হাইকোর্টে বিচারাধীন। এর মধ্যেই রেয়াপাড়ার একটি বুথের ফল নিয়ে তৈরি হল চাঞ্চল্য।

আরও পড়ুন- উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রের প্রমাণ দিলেন দেবাংশু

Previous articleউচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রের প্রমাণ দিলেন দেবাংশু
Next articleবুধবার থেকে কাজ শুরু হল টলিপাড়ায়