দলবদলে তৃণমূলে(TMC) যোগ দিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু বিধানসভায় মুকুল রায়ের আসন বরাদ্দ হয়েছে বিজেপির বিধায়ক হিসেবে বিজেপি(BJP) নেতাদের সঙ্গেই। ফলস্বরূপ ঘাস ফুলের সুগন্ধ গায়ে মাখলেও পদ্মবনে ‘কাঁটা’ হয়ে বসতে হল মুকুল রায়কে(Mukul Roy)। যার জেরে বিধানসভা অধিবেশনের প্রথম দিনে রীতিমতো অস্বস্তির মধ্যেই কাটাতে হলো কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ককে। শুক্রবার বিধানসভায় গেরুয়া শিবিরে মধ্যমণি হয়ে বসলেও মুকুলের সঙ্গে কথাই বললেন না কোনও বিজেপি বিধায়ক। শুধু তাই নয়, ন্যূনতম সৌজন্যতাটুকুও তাঁকে দেখালো না কোনও বিজেপি নেতা। বিধানসভায় বিজেপি দলে তার অনুগামী সংখ্যা নেহাত কম নয়। তবে সকলে মিলে এভাবে মুকুলকে সাইডলাইন করায় ‘উপরমহলের কড়া নির্দেশ’ পালন করা হচ্ছে বলে অনুমান করছে রাজনৈতিক মহল।
শুক্রবার বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনে উপস্থিত ছিলেন প্রায় সমস্ত সদস্যরা। এখানেই মুকুল রায়ের জন্য আসন বরাদ্দ করা হয় তিন নম্বর ব্লকের ৪২ নম্বর আসনটি। এখানে ৪০ নম্বর আসনটি বরাদ্দ করা হয়েছে বিজেপির চিফ হুইপ মনোজ টিগ্গার জন্য। ৪১ নম্বর আসনে বসেছেন মিহির গোস্বামী। এর ঠিক পরেই ৪২ নম্বর আসনে বসেন মুকুল রায়। মিহির গোস্বামী হোক বা মনোজ টিগ্গা ব্যক্তিগতভাবে মুকুলের সঙ্গে এনাদের সম্পর্ক ভালই। কিন্তু এদিন বিধানসভায় বিজেপির কোনও বিধায়ক তাঁর সঙ্গে কথা বলেননি বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। যদিও অধিবেশনের প্রথম দিন মুকুল রায় এই আসনে বসলেও আগামী সোমবার থেকে তাঁর আসন বদল হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, সোমবার থেকে বিধানসভায় মুকুল বসবেন ৬৫ নম্বর আসনে। অর্থাৎ আসন সংখ্যার হিসেবে অধিবেশন চলাকালীন তার ডাইনে-বাঁয়ে সর্বত্র থাকবেন বিজেপি বিধায়করা। কবে প্রথম দিনেই মুকুলের সঙ্গে কোন বিজেপি বিধায়ক কথা না বলায় রাজনৈতিক মহলের অনুমান বিধানসভায় মুকুলের থেকে দূরত্ব বজায় রাখার কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলের তরফেই।
আরও পড়ুন:উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগে স্থগিতাদেশ বহাল, আদালতে হাজিরা দিলেন SSC চেয়ারম্যান
এদিকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মুকুল বিজেপির বেঞ্চে বসায় তোপ দেগেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘মুকুল রায়ের মতো একজন নেতা, যিনি BJP-র হয়ে জিতলেন। তারপর প্রকাশ্যে তৃণমূলে যোগ দিলেন। এখন নির্লজ্জের মতো আমাদের বেঞ্চে বসে আছেন। PAC চেয়ারম্যান হবেন বলে কি উনি ত্রিশঙ্কু হয়ে গেলেন?’ যদিও পাল্টা তৃণমূলের দাবি, :যারা দলের সর্বভারতীয় সভাপতিকে নিজেদের দলে রাখতে পারে না, তারা আবার কোন মুখে এইসব কথা বলে।’