এই ৭৬ বছরের জীবনে অন্তত ৭৬ হাজার স্বপ্ন দেখে ফেলেছেন শুভেন্দু মাইতি। এই স্বপ্নের পথ ধরেই একে একে মুক্তধারা, কিশলয়, আলাপ, প্রবাহ, লালন একাডেমি। এরকম কতশত সংগঠন গড়ে উঠেছে। তিনি নিজে বলছেন, এই পান্থপাদপ একটা খুব বড় স্বপ্নের ভিত্তিভূমি। যা হয়তো দুই বাংলার মানুষেরই বুকের কথা। আমাদের দুই দিকের বাঙালির মাঝের যে কাঁটাতার সেতো মাটিতে। মহাশূন্যে কে আর কাঁটাতার দিতে পেরেছে কবে? সেই মহাশূন্যেই মিলিত হবে ৩৩ কোটি বাঙালি। ভার্চুয়ালি একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা, যেখানে বাঙালির কোনও সীমানা থাকবে না, বিদ্বেষ থাকবে না। কাজটা কঠিন কিন্তু অবাস্তব না, অসম্ভব তো নয়ই।
নিশ্চয়ই ভাবছেন কী কী থাকবে এই পান্থপাদপে ?
এই গোটা প্রকল্পটির রূপদান করছেন বিশিষ্ট ভাস্কর রূপচাঁদ কুন্ডু। তিনিই এই প্রকল্পের রূপকার।
এই পান্থপাদপ অলঙ্কৃত হবে :
১। চারটি মূল্যবান সংগ্রহশালা।
২। একটি উন্নত মানের স্টুডিও( সহজ মানুষ), শক্তিশালী ওয়েব পোর্টাল এর মাধ্যমে সারা বিশ্বের মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপিত হবে এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে।
৩। একটি মুক্তমঞ্চ। ( ২০০-৩০০ আসন যুক্ত)
৪। গ্লাসহাউস (আড্ডাজোন ); ট্রি-কফি হাউস।
৫। শিশুদের বিনোদন পার্ক (আবোল তাবোল এর দেশ)।
৬। প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
সমগ্র প্রকল্প টি হবে পরিবেশ বান্ধব।
খোদ শুভেন্দু মাইতি বলছেন, আমরা ৩৩ কোটি বাঙালি সারা পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছি। তাদেরকে যদি একসূত্রে বাঁধা যায়, তা একমাত্র সম্ভব মহাকাশে। আর সেই স্বপ্ন নিয়ে শিলান্যাস হয়েছে পান্থপাদপ- এর। আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের লোকাচার, আমাদের কবিতা ,গান ,নাটক সবকিছু থেকে আমরা ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছি. কিন্তু পৃথিবীর যে প্রান্তেই বাঙালি থাকুক না কেন তাদের মধ্যে কেউ না কেউতো সৃষ্টি করছে? এই সবকিছুকেই এক সূত্রে বাঁধতে এই উদ্যোগ । অনেকদিনের ভাবনা থেকে বোলপুরের মাটিতে আজকের এই পান্থপাদপ-এর শিলান্যাস ।
পান্থপাদপ সম্পর্কে প্রকল্পের রূপকার শিল্পী রূপচাঁদ কুন্ডুর বক্তব্য, আমি শিল্পী হিসেবে স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি তার থেকেও বেশি ভালোবাসি স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে। যে গুরুদায়িত্ব ভার আমার উপর দেওয়া হয়েছে, আমি চেষ্টা করব পান্থপাদপ-এর মাধ্যমে তাদের সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে।