বাড়ছে ইয়াবা ট্যাবলেট পাচার। কয়েকদিন আগে মুর্শিদাবাদর কয়েকটি এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত চার দিনে সিআইডি এবং জঙ্গিপুর পুলিশের আধিকারিকরা আলাদাভাবে অভিযান চালিয়ে বহরমপুর-সামশেরগঞ্জ থেকে প্রায় এক লক্ষ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেন। এই অভিযোগে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে দুই ব্যক্তি।

জানা গিয়েছে, ইয়াবা ট্যাবলেট মূলত ক্যাফিন ও মেথামফেটামিন নামে নিষিদ্ধ এক প্রকার ওষুধ দিয়ে তৈরি হয়। জানা গিয়েছে, পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মেথামফেটামিন উৎপন্ন হয় মায়ানমারে। গুণগত মানের উপর নির্ভর করে এক পিস ইয়াবা ট্যাবলেটের দাম ৫০-৩০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে পাচারকারীরা ইয়াবা ট্যাবলেট প্রতি পিস ২০০-৮০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করে থাকে। তবে নিয়মিত ইয়াবা ট্যাবলেটের নেশা করলে কিডনি, হার্ট, লিভার এবং মস্তিষ্কের গুরুতর ক্ষতি হয় বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা।

মুর্শিদাবাদে কর্মরত বিএসএফের এক কর্তা জানান, ‘গত কয়েক বছর আগেও হেরোইনের সঙ্গে বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণে ফেনসিডিল সিরাপ পাচার করা হত। কিন্তু বর্তমানে ফেনসিডিলের পরিবর্তে ইয়াবা ট্যাবলেটের চোরাচালান বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে।’

আরও পড়ুন-মঙ্গলকোটে তৃণমূল নেতাকে সুপারি কিলার দিয়ে খুন! তদন্তে সিট গঠন


জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে এখনও এই ইয়াবা মাদক ট্যাবলেট তৈরি হয় না। উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু রাজ্য ও মায়ানমার থেকে এই ট্যাবলেট পাচার হয়ে ভারতে ঢোকে বলে জানা গিয়েছে। এরপর ভারতের একাধিক রাজ্যে ও বাংলাদেশে পাচার হয়।

মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা জানান, ‘মুর্শিদাবাদের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক, উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে যোগাযোগের রাস্তা হিসাবে কাজ করে। মূলত এই রাস্তা ধরেই মণিপুর, মিজোরাম থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট কলকাতা ও অন্য জেলাগুলিতে পাচার হয়।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, করোনা অতিমারী পরিস্থিতির জন্য লোকাল ট্রেন এই মুহূর্তে বন্ধ থাকায় জাতীয় সড়ক দিয়ে মাদক পাচারের পরিমাণ বর্তমানে বেড়ে গিয়েছে।
