লকডাউন শিথিল হতেই বীরভূমের শান্তিনিকেতন এবং তারাপীঠে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন পর্যটকরা । গত কয়েকদিনে বেশকয়েক হাজার পর্যটকের পা পড়েছে বীরভূমে। তাঁদের বেশিরভাগই রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ভিনরাজ্য থেকে বেড়াতে এসেছেন। বিশেষ করে ঝাড়খণ্ড এবং বিহার থেকে বহু মানুষের সমাগম হয়েছে এই সমস্ত পর্যটন স্থলগুলিতে। আর তাতেই আতঙ্কে বেড়েছে জেলা প্রশাসনের। কারণ, জেলার বাইরে থেকে পর্যটকদের আগমনের ফলে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর তাই নতুন করে সংক্রমণ রুখতে প্রথম থেকেই কড়া মনোভাব বীরভূম জেলা প্রশাসন এবং জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের।বীরভূম জেলায় ঢোকার বিভিন্ন রাস্তায় বসান হচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের কিয়স্ক। সেখানে থাকছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সোমবার এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেখানে পরিস্কার উল্লেখ করা হয়েছে, বীরভূমে যে সমস্ত পর্যটক যাবেন তাঁদের কোভিড র্যাপিড টেস্ট করা হবে। কোউইন অ্যাপে দেখা হবে তিনি ভ্যাকসিন নিয়েছে কি না? যাদের করোনা ধরা পড়বে তাদের আইসোলেশনে রাখা হবে।
বীরভূমের জেলাশাসক নির্দেশ দিয়েছেন, পর্যটকদের হোটেল বুকিংয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই দেখাতে হবে, ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের সার্টিফিকেট।
করোনা সংক্রমণ রুখতে, লালমাটির দেশেও পর্যটকদের জন্য জারি হল একগুচ্ছ বিধিনিষেধ।
৭২ ঘণ্টার মধ্যে করা RT-PCR রিপোর্ট নেগেটিভ দেখাতে হবে। দুটির মধ্যে একটি না থাকলে, হোটেল বা হোম স্টে-তে থাকা যাবে না। বৃহস্পতিবারই জারি হয়েছে এই বিজ্ঞপ্তি। দু’দিনের ছুটিতে বাঙালির অন্যতম প্রিয় ডেস্টিনেশন বীরভূম। কিন্তু না, পরিস্থিতি বদলে গেছে। এখন আর ছুটি পেলেই ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়তে পারবেন না।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউ অনিবার্য। ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছে তৃতীয় ঢেউয়ের মারণ ভাইরাস। তাই, সংক্রমণ শৃঙ্খল রুখতে, দিঘা, দার্জিলিঙের পর, এবার বীরভূমের পর্যটনকেন্দ্রগুলিতেও জারি হল বিধিনিষেধ।
