বিরোধী গোষ্ঠীর আন্দোলনকে স্বাগত জানালেন লাল-হলুদ শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার

বুধবার লেসলি ক্লডিয়াস সরণী দেখল এক অন‍্য চেহারা। এই প্রথম সেখানে দেখা গেল ইস্টবেঙ্গল ( eastbengal) সমর্থকদের দুই গোষ্ঠীর লড়াই। ক্লাবকর্তাদের সমর্থনকারী গোষ্ঠীর সঙ্গে ক্লাবকর্তাদের বিরোধী গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ল হাতাহাতিতে।

বুধবার দুপুর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লেসলি ক্লডিয়াস সরণী। স্লোগান পাল্টা স্লোগানে চলে বিক্ষোভ। কেন ইনভেস্টোর কোম্পানির মূল চুক্তিপত্রে সই হচ্ছে না তাই নিয়ে এদিন ক্লাবতাঁবুর সামনে বিক্ষোভে নামে একদল সমর্থক। এই নিয়ে এদিন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার বলেন,”প্রথমত আমি মনে করি না যে ক্লাবের দুটো গোষ্ঠী আছে। এদের পরিচয় একটাই, সবাই ইস্টবেঙ্গলের সমর্থক। কিন্তু আন্দোলন বা বিক্ষোভের একটা পদ্ধতি আছে। যাঁরা বাইরে আন্দোলন করেছেন, তাঁদেরকে বলব তারা  ক্লাবে এসে আমাদের বলতে পারতেন। আমরা তো ২২ মার্চ বলে দিয়েছি, প্রাক্তন খেলোয়াড়, সভ্য, সমর্থক, যে কেউ ক্লাবে এসে চুক্তিপত্র দেখে যেতে পারেন। একটা বিষয় ভাল লাগল যে গত নয় বছর ধরে ক্লাবের নির্বাচনে কোনও বিরোধী প্রার্থী ছিল না। আমার মনে হয়, যদি এখন একটা বিরোধী গোষ্ঠী তৈরি হয়, আমি তাদের সাধুবাদ জানাই। আগামী দিনে এই গোষ্ঠীর পরামর্শ ক্লাবের কাজে লাগতেই পারে। সেই পরামর্শ আমরা অবশ্যই গ্রহণ করব। তাই আবার বলছি, ক্লাবে আসুন, আলোচনা করুন। সুন্দর ভাবে সমস্যার সমাধান হবে।”

বুধবার এই বিক্ষোভ নিয়ে ইস্টবেঙ্গল শীর্ষ কর্তা উদাহরণ টেনে আনল প্রতিবেশি ক্লাব মোহনবাগানেরও। দেবব্রত সরকার বলেন,” গোটা পৃথিবীতে সব ক্লাবেই পক্ষ-বিপক্ষ থাকে। মোহনবাগানেও তো আছে। কিছুদিন আগে  সিইএসসি-র সামনে প্রতিবাদ হয়েছে। এটা নতুন কিছু নয় কলকাতা ময়দানে। আমাদের ক্লাবে আগে ছিল না। তাই আমি ওঁদের কুর্নিশ করছি। একটা বিরোধী শক্তি ক্লাবে এলে কাজ আরও ভাল হবে।”

আরও পড়ুন:দুই গোষ্ঠীর সমর্থকদের হাতাহাতি, রণক্ষেত্র লাল-হলুদ তাঁবু