করোনায় প্রয়াত বাংলাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর

করোনা কেড়ে নিল আরও এক কিংবদন্তিকে। মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীর(Fakir alamgir)। শুক্রবার রাত্রি ১১টা নাগাদ বাংলাদেশের(Bangladesh) গুলশানের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। গানের সুরে বাঙালির হৃদয় জয় করে নেওয়া এই সঙ্গীতশিল্পীর(singer) প্রয়াণে শোকস্তব্ধ দুই বাংলা।

জানা গেছে, গত ১৪ জুলাই করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে ফকির আলমগীরের শরীরে। এরপর থেকে বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে ওঠে। জ্বর ও শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধি পায়। অবস্থার অবনতি হতেই দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। কিন্তু পরিস্থিতি আয়ত্তে আনা যায়নি। প্রথমে আইসিইউ তারপর লাইফ সাপোর্টে পাঠানো হয় কিংবদন্তি সংগীতশিল্পীকে। চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শুক্রবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।

আরও পড়ুন:গুরু পূর্ণিমায় গৌতম বুদ্ধকে স্মরণ করে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির

১৯৫০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ফরিদপুরে জন্ম ফকির আলমগীর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা নিয়ে এমএ পাস করার পর পুরোপুরি ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ষাটের দশকে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সঙ্গীত বলয়ে প্রবেশ করেন। ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। তার গান বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে সকলের মুখে মুখে ঘুরত। স্বাধীনতার পর ফকির আলমগীর পপ ঘরানার গানে যুক্ত হন। পাশ্চাত্য সংগীতের সঙ্গে বাংলার লোকজ সুরের সমন্বয় ঘটিয়ে তিনি বহু গান সৃষ্টি করেছেন। শিল্পের দুনিয়ায় তাঁর অসামান্য কৃতিত্বের জন্য বাংলাদেশের একাধিক রাষ্ট্রীয় সম্মানের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক তাঁকে মহাসম্মাননা দেওয়া হয়। পেয়েছেন ত্রিপুরার সংস্কৃতির সমন্বয় পুরস্কারও। ‘বাংলা একাডেমি সম্মানসূচক ফেলোশিপ’ পুরস্কারেও তাঁকে ভূষিত করা হয়।