ত্রিপুরায় বিপ্লব সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে পিকের টিমের পাশে সিপিএমের মানিক

বিধানসভা ভোটের (Tripura Assembly Election) এখনও বাকি দেড় বছর। তার আগে ত্রিপুরা রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। বিজেপি (BJP) শাসিত বিপ্লব দেব (Biplab Dev) সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার বিরোধীরা। সলতে পাকানো শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূলও (TMC)। তেইশের বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় তৃণমূলের সম্ভাবনা ও সেই রাজ্যের পলিটিক্যাল গ্রাউন্ড রিয়েলিটি রিসার্চ করতে সম্প্রতি আগরতলায় (Agartala) গিয়েছেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের (Prasant Kishore) সংস্থা আইপ্যাকের (IPAC) ২৩ জন সদস্য। কিন্তু তাঁদের উডল্যান্ড পার্ক হোটেলেই “গৃহবন্দি” করে রেখেছে আগরতলা পুলিশ। বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে মামলা রুজু করে তাঁদের সমন পাঠানো হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য। আগামী ১ আগস্ট পিকের টিমের সদস্যদের ত্রিপুরা পুলিশ আলাদা আলাদা করে জেরা হবে বলে জানা যাচ্ছে।

 

এদিকে জানা গিয়েছে, সদর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক মঙ্গলবার রাতে হোটেলে গিয়ে জানিয়ে পিকের টিমের সদস্যদের জানিয়ে এসেছেন, তাঁদের সকলের কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ। তাহলে তাঁদের অন্যায় ভাবে আটকে রাখা কেন? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।

 

রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার (Manik Sarkar) আইপ্যাকের সদস্যদের অন্যায়ভাবে আটকে রাখার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। সিপিএম (CPIM) নেতার কথায়, “ত্রিপুরায় বিজেপি জঙ্গলের শাসনকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। কেন হোটেলে ২৩ জনকে আটকে রাখা হয়েছে? ০প্রশাসন কেন এ বিষয়ে সঠিক উত্তর দিতে পারছে না।”

 

এখানেই শেষ নয়। মানিক সরকার আরও বলেন, “অতীতের দৃষ্টান্ত তুলে কেউ বলতে পারবে না, ত্রিপুরায় দীর্ঘ বামফ্রন্ট জমানায় এইভাবে বাইরের বাইরের রাজ্যের লোকদের কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে। আমি শুনেছি ওরা এখানে একটি পেশাদার সংস্থার হয়ে পেশার তাগিদে কাজ করছেন। এটা তাঁদের গণতন্ত্রিক অধিকার। কাগজপত্র পরীক্ষা করে কিছুই অনিয়ম ধরতে পারলেন না। তারপরেও

হোটেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে।”

 

কোভিড রিপোর্টে নেগেটিভ। তারপরও কীভাবে হোটেল বন্দি করে রাখা যায় কোনও সংস্থার হয়ে পেশার তাগিদে কাজে আসা সদস্যদের? মানিকবাবু বলেন, “আসলে বিজেপি ভয় পেয়ে গিয়েছে। তাই পুলিশ দিয়ে এইসব বেআইনি কাজ করছে। কারণ,তারা বুঝে গিয়েছে, পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। ত্রিপুরার মানুষ জনগণ বিজেপির সঙ্গে নেই। তাই নির্বাচনের আগে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করছে বিজেপি সরকার। কিন্তু তাতে লাভ হবে না। মানুষ ঠিক করে নিয়েছে, আসন্ন বিধানসভায় ত্রিপুরার মাটি থেকে বিজেপিকে উৎখাত করে দেবে।”

 

 

Previous articleবিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের বলি বালক! চাঞ্চল্য হুগলিতে
Next articleশেষপর্যন্ত স্মার্টফোন ত্যাগ করে বোতাম টেপা ফোনে ফিরলেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়!