‘জাগো বাংলা’-তে অজন্তা বিশ্বাসের কলম নিয়ে কী বললেন কুণাল ঘোষ?

Trinamool Congress এর মুখপত্র দৈনিক Jago Bangla পত্রিকায় প্রয়াত সিপিএম নেতা অনিল বিশ্বাসের কন্যা Ajanta Biswas এর একটি লেখা প্রকাশ নিয়ে একাংশের মধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে একটি ফেস বুক পোস্ট করেছেন Kunal Ghosh.

তিনি লিখেছেন-

দৈনিক ” জাগো বাংলা” -তে অজন্তা বিশ্বাসের লেখা প্রকাশিত হয়েছে। এনিয়ে চারদিকে যে বিতর্ক ও জল্পনা চলছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকটি কথা।

1) অজন্তা প্রয়াত সিপিআইএম নেতা অনিল বিশ্বাসের কন্যা। নিজে মেধাবী ছাত্রী। কৃতী অধ্যাপক। লেখার বিষয় “বঙ্গরাজনীতিতে নারীশক্তি”। গবেষণাধর্মী তথ্যনিষ্ঠ লেখা। লেখিকার রাজনৈতিক পরিচয় না দেখে লেখার গুণমান বিচার হোক। লেখায় বামপন্থী নেত্রীদেরও উল্লেখ আছে। বাংলার সব স্রোতের কথাই লেখিকা বলেছেন।

2) লেখিকার সঙ্গে আমার পূর্বপরিচয়। তিনি এই লেখাটি লিখেছেন বলে আলোচনা হচ্ছিল। লেখাটি পড়ে মনে হয়েছে খুবই ভালো লেখা। এটি সবার পড়ার মত। যেকোন সংবাদপত্রের পক্ষে সুন্দর সুপাঠ্য উপাদান। লেখাটি চাই। লেখিকাকে ধন্যবাদ। তিনি দেন। এই লেখাটি “জাগো বাংলায়” প্রকাশের মধ্যে কোনো রাজনীতি নেই। লেখিকা যে বাম নেত্রীদের কথা লিখেছেন, সেগুলিও অপরিবর্তিত আছে। ” জাগো বাংলা” হুবহু প্রকাশ করছে। লেখিকা কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দেননি। আমরাও কোনো রাজনৈতিক কারণে ছাপিনি।

3) লেখিকা ” জাগো বাংলা” দপ্তরে আসেননি। এনিয়ে যেসব চর্চা চলছে তা সর্বৈব ভুল। ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে লেখিকার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল ঠিক। কিন্তু সেটি “জাগো বাংলা”র দপ্তর নয়। দয়া করে অকারণ ভুল তথ্য নিয়ে জল্পনা চালাবেন না।

4) লেখিকা প্রয়াত অনিল বিশ্বাসের কন্যা বলে এত জল্পনা। কিন্তু যদি একটি ভালো লেখার জন্য লেখিকা বা দৈনিক কাগজ, দুপক্ষই উদারতা দেখান, তাতে কি সুস্থতার বার্তাই পরিবেশিত হয় না? লেখিকা ব্যক্তিগতভাবে বাম নেত্রীদের শ্রদ্ধা করেন আবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকেও যদি তাঁর ভালো লাগে, সমস্যা কোথায়? তাছাড়া “বঙ্গরাজনীতিতে নারীশক্তি” শীর্ষক বিষয় কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উল্লেখ ছাড়া সম্ভব?

5) বামশিবিরের একাংশ বিষয়টি নিয়ে একটু বেশি তৎপর বলে ইতিউতি কানে আসছে। জাগো বাংলায় এই বিষয়ে লিখলে আপত্তি, যেখানে লেখিকা বামপন্থী নেত্রীদের কথাও লিখছেন; আর মার্ক জুকেরবার্গের ফেসবুক কোন্ শ্রমজীবীর মার্কসবাদী লেনিনবাদী শ্রেণীবন্ধু যে সেখানে কমরেডদের দিনভর আত্মপ্রচার আর বিপ্লব অনুমোদিত? আশা করব, মাঝারি যেসব বামপন্থী অনুশাসন আর শৃঙ্খলার নামে লেখিকাকে কিঞ্চিৎ বিরক্ত করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে, সেসব কাজকর্মের প্রক্রিয়া বন্ধ হবে। আরোপিত রক্ষণশীলতাজনিত রক্তক্ষরণ যেখানে রক্তশূন্যতার দিকে ঠেলে দেয়, মস্তিষ্কের সেই সফটওয়্যার আপডেট হলে ভালো হয়।

6) লেখিকা আন্তরিকভাবে লেখার বিষয়টি নিয়ে চর্চা করেছেন। লিখেছেন। শুধু দলাদলির দৃষ্টি দিয়ে বিষয়টি দেখেননি। ঘটনাচক্রে সেটি অন্য একটি দলের মুখপত্রে প্রকাশিত। শুধু সেই কারণেই লেখার বিষয়টিকে ধামাচাপা দিয়ে তার রাজনৈতিক আঙ্গিক নিয়ে চর্চা বোধহয় ঠিক হচ্ছে না। একজন ধর্মনিরপেক্ষ পরিবারের সচেতন সদস্য এই লেখিকা একটি ধর্মনিরপেক্ষ প্রগতিশীল কাগজে বাংলার রাজনীতিতে নারীশক্তির অবস্থান ও ভূমিকা নিয়ে একটি নিরপেক্ষ লেখা লিখেছেন, পাঠকের দরবারে এটাই কি আসল কথা নয়?

আরও পড়ুন- ডাক্তারি পড়ুয়াদের জন্য সুখবর! ওবিসিদের জন্য ২৭ শতাংশ সংরক্ষণের ঘোষণা কেন্দ্রের

Previous articleডাক্তারি পড়ুয়াদের জন্য সুখবর! ওবিসিদের জন্য ২৭ শতাংশ সংরক্ষণের ঘোষণা কেন্দ্রের
Next articleরাজ্যে আরও মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল তৈরির ঘোষণা নবান্নের