শিক্ষাক্ষেত্রে উৎকর্ষের স্বীকৃতি পেল অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটি

চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়

শিক্ষাক্ষেত্রে উৎকর্ষের স্বীকৃতি পেল অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটি (Adamas University)। ZEE 24 ঘণ্টা এডুকেশন এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেল এই বিশ্ববিদ্যালয়। এই স্বীকৃতি পেয়েছে তারা ‘বেস্ট ইউনিভার্সিটি এমপ্লয়বিলিটি অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কানেক্ট, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ ক্যাটাগরিতে।

উত্তর পূর্ব ভারতের অন্যতম সেরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটি। পড়ুয়াদের জন্য তারা নিয়ে এসেছে এমন ১০০টিরও বেশি স্পেশাল কোর্স যা এই সময়ের চাহিদা অনুযায়ী অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। দশটি স্পেশাল স্কুলে এই কোর্সগুলি নিয়ে পড়ার ব্যবস্থা আছে।

রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসতে অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এটি। ২০১৪ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় পথ চলা শুরু করে।এখানে ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তি, বিজ্ঞান, মানবীয় বিদ্যা, আইন ও ম্যানেজমেন্ট পড়ানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের(UGC) অধিভুক্ত অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটি পড়ুয়াদের জন্য ১২০ একর জমির ওপর ওয়াইফাই সুবিধা যুক্ত সবুজ ক্যাম্পাস যেমন দিচ্ছে, একই সঙ্গে থাকছে আর্ট রিসার্চ ল্যাব, পড়ুয়াদের থাকার অত্যাধুনিক ব্যবস্থা, খেলার বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা।

ইউনিভার্সিটির আচার্য সমিত রায়(Samit Ray) বলেন, অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটি ষষ্ঠ বছরে পা দিয়েছে। দশটি স্কুলের চার হাজার ছেলেমেয়ে এখানে পড়াশোনা করছে। তাদের প্রধান লক্ষ্য থাকে ডিগ্রি পাওয়া। আন্ডার গ্রাজুয়েট, মাস্টার ডিগ্রি এবং গবেষণা করা। সেই সঙ্গে সঙ্গে নতুন প্রজন্ম যাতে কর্মস্থলে গিয়ে তাদের দক্ষতা প্রদর্শন করতে পারে, সেটাও কিন্তু এই ইউনিভার্সিটির একটি অন্যতম  প্রধান লক্ষ্য।

মহামারি আবহে জেরবার সারা বিশ্ব। মারণ ভাইরাসের কোপ পড়েছে পঠনপাঠনেও। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে কার্যত মডেল হয়ে উঠেছে অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে স্বীকৃতি পেয়েছে অ্যাডামাস। তবে শুধু শিক্ষা ক্ষেত্রে নয়। মানবিকতার ক্ষেত্রেও নজির সৃষ্টি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য অধ্যাপক সমিত রায়।

মহামারির জেরে  ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে বন্ধ হয়নি পঠন-পাঠন। লাগাতার চলছে অনলাইন ক্লাস। পাশাপাশি মহামারি যুদ্ধেও সামিল হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে ১০০০ বেডের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পাশাপাশি চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকার ব্যবস্থাও করা হয়।

অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদা একটি উদ্ভাবনী শিক্ষার প্রক্রিয়ার দিকে কাজ করে। কীভাবে শিক্ষা শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয়তা এবং আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হয়ে উঠতে পারে, সেটাই মূল লক্ষ্য এই ইউনিভার্সিটির।
আডামাস বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ব্যবস্থার মূল চালিকাশক্তি পড়ুয়াদের অগ্রাধিকার দেয়। এবং তাদের জ্ঞান ও বুদ্ধি বিকাশ বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।

এরই পাশাপাশি, এবার করোনা কিট তৈরির পথে এগোচ্ছে অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটি। একটি অত্যাধুনিক কোভিড ১৯ কিট তৈরি করতে চলেছে তারা। কোভিড ১৯ টেস্ট কিট তৈরি করার জন্য কলকাতারই সংস্থা এক একুরা ল্যাবস প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে একটি মউ স্বাক্ষর করেছে তারা।

১২০ পিএইচডি স্কলার থাকছেন ছাত্র-ছাত্রীদের গাইড করার জন্য। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড হোল্ডার আবেদন করতে পারবেন এছাড়াও মেধার ভিত্তিতে স্কলারশিপের ব্যবস্থা আছে।

অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর সেলের প্রেসিডেন্ট অভীক দে বলেন, রিসার্চ এই ইউনিভার্সিটির একটি প্রধান স্তম্ভ। ১০৮ টি রিসার্চ ল্যাবরেটরি আছে ইউনিভার্সিটির মধ্যে। যেখানে বিভিন্ন স্ট্রিমের ছাত্রছাত্রীরা রিসার্চ করতে পারেন । এখন অতিমারির জন্য ছাত্রছাত্রী না থাকলেও ছাত্রছাত্রীরা যখন কোভিড পরিস্থিতির পর ফিরবেন, তারা কিন্তু ২৪ ঘণ্টা এখানে রিসার্চের সুযোগ পাবেন।

প্রো ভাইস চ্যান্সেলর, অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটি ড. নবীন দাস জানিয়েছেন, আমরা কেরিয়ার ডেভলপমেন্ট সেলের মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রিকে আমাদের ইউনিভার্সিটির সঙ্গে সংযুক্ত করতে পেরেছি। সেই কারণেই সম্প্রতি এমপ্লয়বিলিটিতে কিউএস আইগজ রেটিংয়ে আমরা ডায়মন্ড রেটিং পেয়েছি। এই কর্মসংস্থান অর্থাৎ চাকরির জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের চিন্তা করার কোনও অবকাশ নেই। তাদের চাকরি পাওয়ার জন্য অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটি সবসময় তাদের পাশে আছে।

তাদের অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন বিশিষ্ট পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় ও অভিনেতা রজতাভ দত্ত। এই অ্যাওয়ার্ড পেয়ে যারপরনাই আপ্লুত ও সম্মানিত অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটির সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকেই।

 

Previous articleনয়া শ্রমবিধি, ন্যূনতম বেতন ১৫০০০ থেকে বেড়ে হতে চলেছে ২১০০০
Next articleকুণাল ও দিলীপকে আক্রমণ করে রবি সকালে ফের ফেসবুক পোস্ট বাবুলের