Friday, August 22, 2025

“লেখার স্বাধীনতা থাকা উচিত”, “জাগো বাংলা-অজন্তা” ইস্যুতে মতামত CPI (ML)-এর

Date:

Share post:

একসময় যিনি বিরোধী নেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ম করে আক্রমণ করতেন, সেই অনিল বিশ্বাসের মেয়ের লেখনী ঘিরে, সিপিএমের অন্দরের পাশাপাশি রাজ্য রাজনীতিও তোলপাড়। সম্প্রতি, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র “জাগো বাংলা” দৈনিক সংবাদ পত্রে সম্পাদকীয় পাতায় ধারাবাহিকভাবে লেখা বেরিয়েছে সিপিআইএমের প্রয়াত রাজ্য সম্পাদক অনিল বিশ্বাসের কন্যা অজন্তা বিশ্বাসের। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে সিপিএমের অন্দরে। প্রয়াত নেতার কন্যাকে নিয়ে যথারীতি নিয়ে কঠোর মনোভাব সিপিএমের।

কলমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা। একজন রাজনৈতিক নেত্রী হিসেবে নজির গড়েছেন সমগ্র বিশ্বের সম্মুখে নিজের যোগ্যতায়। রাজনৈতিক ইতিহাসে বাঙালি নারী হিসেবে, নিজেকেই অন্যতম সেরা প্রমাণিত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনিল বিশ্বাসের কন্যার এমনই লেখনী ঘিরে বিতর্কের ঝড় উঠেছে সিপিএমের অন্দরেও। এই প্রসঙ্গে মুখ খুলে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে দল। যা করেছেন অজন্তা, তা মেনে নেওয়া যাবে না।

তবে সিপিএমের এমন মনোভাবের সঙ্গে সহমত পোষণ করল না সিপিআই (এম এল)। লেখক এর লেখার স্বাধীনতা থাকা উচিত বলে মনে করে এই বামপন্থী দলটি। এ প্রসঙ্গে সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, “সিপিএমের দলের মধ্যে কোনও আলাদা নিয়ম আছে কিনা আমার জানা নেই। যে দলের কেউ স্বাধীনভাবে নিজের মতামত বা লেখা অন্য কোনও পত্রিকায় লিখতে পারবে না। আবার অজন্তা বিশ্বাস সিপিএম-এর সঙ্গে কতটা যুক্ত সেটাও জানি না। তবে এটুকু বলতে পারি, কোনও লেখকের লেখার বা মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকা দরকার বলেই মনে করি আমি।”

দীপঙ্করবাবুর সুরে গলা মিলিয়ে সিপিআই (এম এল)-এর রাজ্য সম্পাদক অভিজিৎ মজুমদার বলেন, “লেখক সেজন্য দলেরই হতে পারেন। তবে তার লেখনি বা মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকা দরকার। এটা খর্ব করার অধিকার কারও নেই। আমাদের দলের অনেকেই আছেন, যাঁরা অন্য পত্র-পত্রিকায় লেখেন। সব সময় হয়তো তাদের লেখার সঙ্গে দলের মতামত এক হয় না। কিন্তু আমরা কোনও লেখকের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করি না, সে আমাদের দলের সদস্য হলেও। এক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট।”

আরও পড়ুন:আগামী দিনে সারা দেশে ‘খেলা হবে’: ঘোষণা মমতার

প্রসঙ্গত, যাঁকে নিয়ে এত বিতর্ক, সেই অজন্তা বিশ্বাস নিজের অবস্থানে অনড়। অনিল বিশ্বাসের কন্যা বলেন, ”বঙ্গের রাজনীতি নিয়ে নারীদের ভূমিকা নিয়ে লিখতে গেলে, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ আসাটা অত্যন্ত স্বাভাবিক। তিনি বাংলার প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। মহিলা নেত্রী হিসেবে তিনি দীর্ঘদিন পুরুষপ্রধান রাজনীতির অসম লড়াইয়ে নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন।”

 

spot_img

Related articles

সোনা জয়ী অভিনবকে শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর

এশিয়ান শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপ জুনিয়র (Asian Shooting Championship) এয়ার রাইফেল বিভাগে বাংলার অভিনব সাউয়ের (Abhinaba Shaw)। তাঁর এই সাফল্যই...

পুজোর আগে রাজ্য পুলিশের শীর্ষস্তরে রদবদল! পরিবর্তন হল ৬ জেলার এসপি-ডিসি

পুজোর মুখে রাজ্য পুলিশের শীর্ষ পদে বড়সড় রদবদল করল নবান্ন। বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, একাধিক জেলায় পুলিশ...

‘নোরা ফাতেহি’ হতে হবে! স্ত্রীকে জোর করে শরীরচর্চা করিয়ে গর্ভপাত শিক্ষকের

যোগীরাজ্যে স্কুলশিক্ষকের ফ্যান্টাসির চূড়ান্ত নমুনা! স্ত্রীকে হতে হবে রোগা ছিপছিপে চেহারার। আর সেই চেহারা বানাতে গিয়েই স্বামীর নির্মম...

গান-কবিতায় সংসদে সরব তৃণমূল! বয়কট রাজ্যসভার চা-চক্র

বৃহস্পতিবার অধিবেশনের শেষ দিনে সংসদ উত্তাল হল বাংলা গান, কবিতা, বিক্ষোভ, প্রতিবাদে। সংসদের অন্দরে যেমন কালাকানুন, এসআইআর, ভাষাসন্ত্রাসের...