‘বৈবাহিক ধর্ষণ’ নিয়ে মোদি সরকারের যুক্তির উলটোপথে হাটল কেরল আদালত।

স্ত্রীর সম্মতি বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’ ছাড়া আর কিছুই নয়। শুক্রবার এমনই রায় দিল কেরল হাইকোর্ট। ৬ বছর ধরে চলা একটি মামলার রায়ে নারী অধিকারকে আরেকবার সুরক্ষিত করে আদালত জানায়, এই মর্মে মহিলারা ডিভোর্সও দাবি করতে পারে।
শুক্রবার কেরল আদালতের বিচারপতিদের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ‘ স্ত্রীর শরীরের উপর স্বামীর অতিরিক্ত কোনও অধিকার বর্তায় না। এক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রী দুজনেরই সমান অধিকার রয়েছে। স্ত্রীর সম্মতির বাইরে তাঁকে বলপূর্বক যৌন মিলনে বাধ্য করা ধর্ষণের সমান অপরাধ বলেই গৃহীত হবে। এমনকি তা মানসিক ও শারীরিক ধর্ষণের সমতুল্য।’

প্রসঙ্গত, এই নিয়ে আদালতে একটি হলফনামা দিয়ে মোদি সরকার দাবি করেছিলেন, বৈবাহিক সম্পর্কে শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টি ধর্ষণের মত অপরাধ হিসেবে গণ্য হলে বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানটিই উঠে যাবে। কেন্দ্রের সাফাই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ইচ্ছের বিরুদ্ধে যৌন সম্পর্কে ধর্ষণের অপরাধ হয় না। কিন্তু শুক্রবার কেরল আদালত ঠিক এই ভাবনার উলটো ব্যাখ্যা করে নজির তৈরি করল।

কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তিকে সমালোচনা করেছিল নারী সুরক্ষা অধিকারের আন্দোলনকারীরা। কিন্তু এদিনের কেরল আদালতের রায়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি বিচারাধীন পরিবারের সদস্যরা।

