একসপ্তাহ পরে অবশেষে কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) অ্যাকাউন্ট আনলক করল টুইটার (Twitter)। সম্প্রতি দিল্লিতে (Delhi) নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের অভিযোগের ঘটনায় রাহুল ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। সেই ছবি-ভিডিও টুইটারে পোস্টও করেন তিনি। কংগ্রেসের একাধিক নেতা সেই পোস্ট শেয়ার করেন। কিন্তু আইন অনুযায়ী, নির্যাতনের শিকার কোনও শিশু বা তার পরিবারের কারও ছবি প্রকাশ্যে আনা যায় না। এই বিষয়ে টুইটারের কাছে অভিযোগ জানায় জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন।
এরপরই রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) টুইটার অ্যাকাউন্ট লক করে দেয় টুইটার। সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় সর্বভারতীয় কংগ্রেস এবং একাধিক প্রদেশ কংগ্রেসের টুইটার হ্যান্ডেলও। দলের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতৃত্বের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। নিয়ম ভাঙার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় টুইটার।
এদিকে, শুক্রবার টুইটারকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে তোপ দাগেন রাহুল। এরপর টুইটার ইন্ডিয়ার দায়িত্ব থেকে সরানো হয় মণীশ মাহেশ্বরীকে। আর সেই তোপের পর শনিবার সাসপেনশন তুলে নেওয়া হল রাহুলের অ্যাকাউন্ট ‘আনলক’ করল টুইটার কর্তৃপক্ষ। নির্যাতিতার পরিবার লিখিত সম্মিত দেওয়ার পরই রাহুল-সহ বাকি কংগ্রেস নেতা এবং কংগ্রেসের দলীয় টুইটার হ্যান্ডেল আনলক করে দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর।
এদিকে, ভারতের ফেসবুক প্রধানকে ডেকে পাঠিয়েছে জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন। ১৭ অগস্ট বিকাল ৫টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে ফেসবুক ভারতের প্রধান সত্য যাদবকে। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা বিস্তারিত জানার জন্যই ফেসবুক প্রধানকে তলব করেছে কমিশন। কারণ, টুইটারে পাশাপাশি ইনস্টাগ্রামেও ওই নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার ভিডিও পোস্ট করেছিলেন রাহুল। এর জন্য তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইন ভাঙার অভিযোগ ওঠে। এই বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতেই এ ফেসবুক প্রধানকে তলব করল জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন।
