ভয় দেখিয়ে তৃণমূলকে আটকানো যাবে না: ত্রিপুরায় স্পষ্ট বার্তা তৃণমূল নেতৃত্বের

ভয় দেখিয়ে ত্রিপুরায় (Tripura) তৃণমূলকে আটকানো যাবে না- দলীয় নেতাকর্মীদের উপর ধারাবাহিক পুলিশি জুলুমের প্রতিবাদে সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্পষ্ট বার্তা দিলেন দলীয় সাংসদ-মন্ত্রীরা। তৃণমূলের এবার লক্ষ্য জিতবে ত্রিপুরা। আর সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। হাওয়া উল্টো বুঝে চাপ বাড়াচ্ছে ত্রিপুরার শাসকদল বিজেপিও। পুলিশ-প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে যথেচ্ছ ধরপাকড় চলছে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের। দলীয় যুব নেতৃত্বকে ছাড়াতে গিয়ে মামলার মুখে পড়েছেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay) থেকে শুরু করে রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu), রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh), সাংসদ দোলা সেন (Dola Sen)-সহ শীর্ষস্থানীয় নেতারা। কিন্তু তাও তৃণমূলের এখন পাখির চোখ ত্রিপুরাই। স্বাধীনতা দিবসের আগে সেখানে উপস্থিত হয়েছেন সাংসদ মন্ত্রীরা আর সেখানে গিয়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁরা জানিয়ে দিলেন, “‘পরাধীন’ ত্রিপুরায় স্বাধীনতা দিবস পালন করবে তৃণমূল”। সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন কাকলি ঘোষদস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তনু সেন, ব্রাত্য বসু, অপরূপা পোদ্দার, অর্পিতা ঘোষ-সহ তৃণমূল নেতৃত্ব।

বাংলার মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ত্রিপুরায় যদি তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও ভিত্তি না থাকে, তাহলে সেখানে তাঁদের এত ভয় পাচ্ছে কেন বিজেপি? তাঁদের আটকে দেওয়ার জন্য এত দমন-পীড়নই বা কেন? সেখানে শিক্ষকদের ওপর যেভাবে ছাঁটাইয়ের খাঁড়া নেমে এসেছে, ১০৩২৩ শিক্ষককে যেভাবে রাতারাতি কর্মহীন করে দেওয়া হয়েছে তার তীব্র বিরোধিতা করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। ব্রাত্য বলেন, এই লড়াইয়ে শিক্ষকদের পাশে রয়েছে তৃণমূল।

তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার (Kakoli Ghosh Dastidar) অভিযোগ করেন, ত্রিপুরায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে মহিলাদের ভয় দেখাচ্ছে বিজেপি (Bjp) । ভয় আর আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে সে রাজ্যে। তিনি বলেন, তৃণমূলের (Tmc) মহিলা সেলের নেত্রী হিসেবে ভারতের অন্যান্য রাজ্যে গিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা তাঁর আছে। কিন্তু ত্রিপুরার মতো কোথাও মহিলাদের উপর এমন দমন-পীড়ন তিনি দেখেননি।

বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধা পায় রাজ্যের মানুষ। সেই উদাহরণ তুলে ধরে রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, যে উন্নয়ন প্রকল্পের সুবিধে বাংলার মানুষ পায়, ত্রিপুরা তা থেকে বঞ্চিত হবে কেন?

ত্রিপুরায় প্রাক্তন শাসকদল বামেদেরকেও একহাত নেন ব্রাত্য। কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “সিপিএম এখন কী করছে?” এরপরেই তিনি বলেন, “বাংলার সিপিএম যে ভুল করেছে, ত্রিপুরায় সে ভুল করবেন না। বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট ভাগ হতে দেবেন না। বিজেপির বিকল্প হিসেবে সিপিএম নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন”।

ত্রিপুরায় ১৬ তারিখ খেলা হবে দিবস পালিত হবে। শনিবার, সাংবাদিক বৈঠক শেষে তৃণমূল সাংসদরা ফুটবল পায়ে মেতে ওঠেন, বুঝিয়ে দেন ত্রিপুরায় “খেলা হবে”।

আরও পড়ুন:এগিয়ে বাংলা, করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ প্রাপকদের হারে শীর্ষে রাজ্য

 

Previous articleএগিয়ে বাংলা, করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ প্রাপকদের হারে শীর্ষে রাজ্য
Next articleহাসপাতালে শিশুদের জন্য ২০ শতাংশ কোভিড বেড সংরক্ষণের নির্দেশ কেন্দ্রের