ত্রিপুরায় থাকছেন বিপ্লব, সুবিধা তৃণমূলেরই: মত রাজনৈতিক মহলের

দিল্লিতে দরবার করে কি গদি বাঁচালেন ত্রিপুরার (Tripura) মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব (Biplab Dev)? সেটাই মনে করছেন অনেকে। যদিও অতীতে অন্যান্য রাজ্যের ক্ষেত্রে হয়েছে উল্টোটাই। বিজেপি (Bjp) শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা দিল্লি থেকে ফিরেই মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন বা দিতে বাধ্য হয়েছেন। তবে ত্রিপুরায় তৃণমূলের জমি শক্ত হতেই দিল্লি উড়ে গিয়েছিলেন বিপ্লব। শুক্রবার সন্ধেয় রাজ্যে ফিরে তাঁর সফরসঙ্গী তথা ত্রিপুরা বিজেপি-র সভাপতি মানিক সাহা (Manik Saha) জানালেন, এখনই মুখ্যমন্ত্রী বদলের কোনো সম্ভাবনা নেই। নিজের পদেই থাকছেন বিপ্লব।
ত্রিপুরায় তৃণমূলের (Tmc) ভিত শক্ত হচ্ছে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের উপর ত্রিপুরায় পুলিশ-প্রশাসনের জুলুম বাড়ছে বলে অভিযোগ।  আর এর জেরে শুধু তৃণমূল নয়, বিরোধীদেরও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ত্রিপুরা সরকারকে। এই পরিস্থিতিতে দিল্লি যান বিপ্লব দেব৷ তাঁর সঙ্গে ত্রিপুরা বিজেপি-র সভাপতি মানিক সাহাকেও ডেকে পাঠান বিজেপির কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃত্ব। সুদীপ রায় বর্মন (Sudip Ray Chowdhury) গোষ্ঠীর চাপে বিপ্লব দেবকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হতে পারে বলে জল্পনা তৈরি হয়। কিন্তু শুক্রবার ত্রিপুরায় ফিরে মানিক সাহা জানান, এখনই মুখ্যমন্ত্রী বদলের কোনও পরিকল্পনা নেই। বিপ্লব দেবই থাকছেন দায়িত্বে। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, এই সিদ্ধান্তের ফলে আখেরে ক্ষতি হবে বিজেপির। কারণ, এতে ত্রিপুরায় বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাড়ার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ, দলে অনেকেই বিপ্লব দেবকে পছন্দ করেন না। তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীও যথেষ্ট সক্রিয়। একইসঙ্গে অন্তর্দ্বন্দ্বে জেরবার হওয়া গেরুয়া শিবির ত্রিপুরায় তৃণমূলের প্রভাব বিস্তারকে আটকাতে পারবে না বলেই অনুমান।


Previous articleহাইতির ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে মৃত্যু মৃত্যু তিনশোরও বেশি, আহত বহু
Next articleসব সময়ের জন্য ভাড়া এক, শহরে এখন অভিনব অ্যাপ ক্যাব ‘ryde’