হাইতির ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে মৃত্যু মৃত্যু তিনশোরও বেশি, আহত বহু

শনিবার সকালে তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল হাইতি। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.২। তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়েছিল অট্টালিকা, স্কুলঘর, গির্জা,হাসপাতাল থেকে শুরু করে প্রায় সবকিছু। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মধ্যেও প্রাণহানির খবর মেলেনি। তবে রাত পোহাতেই দুঃসংবাদ পাওয়া গেল। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, গতকালের ভূমিকম্পে তিনশোরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। পাশাপাশি এই বিপর্যয়ের দরুণ দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে হাইতি সরকার।

উদ্ধারকারীরা জানাচ্ছেন, ভেঙে পড়া বহু বাড়ির নীচে অনেকে আটকে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁদের চিহ্নিত করে দ্রুত উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাইতির দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল।কম্পনের উৎসস্থলের খুব কাছাকাছি থাকায় এই অঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রাণহানির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন:৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী লিখলেন,’দেশটা সবার নিজের’

হাইতির এই দুর্দিনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, “হাইতির ভয়াবহতা দেখে শিউরে উঠছি। সে দেশের মানুষের কাছে এটা কঠিন সময়। হাইতিকে সব রকম ভাবে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আমেরিকা।”

শনিবার সকালে আচমকাই দেশের পশ্চিম অংশে ভয়াবহ কম্পন অনূভূত হয়। তাতে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় একাধিক এলাকা। তীব্র এই ভূমিকম্পের পরই সরকারের পক্ষ থেকে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়। আমেরিকার জিয়োলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, কম্পনের উৎসস্থল ছিল রাজধানী পোর্ত-অউ-প্রিন্স থেকে ১৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে, ভূগর্ভের ১০ কিলোমিটার গভীরে। দেশের অন্যত্রও কম্পন অনুভূত হয়।

উল্লেখ্য,এর আগে ২০১০ সালে হাইতিতে ৭ মাত্রার এক ভূমিকম্পে প্রায় দুই লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।আহত হয়েছিলেন আরও বেশ কিছু মানুষ।


Previous articleভারত ছাড়াও আরও ৫টি দেশে আজই পালিত হয় স্বাধীনতা দিবস, জানেন কী দেশগুলির নাম
Next articleত্রিপুরায় থাকছেন বিপ্লব, সুবিধা তৃণমূলেরই: মত রাজনৈতিক মহলের