ভোট মিটলেই ১২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সাগরে নতুন সেতু তৈরির কাজ শুরু হবে

ভোট মিটলেই যাতে কাজ শুরু করে দেওয়া যায় তা নিশ্চিত করতে এখন থেকে যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখছে রাজ্যের পূর্ত দফতর

সাগরদ্বীপের প্রধান সমস্যাই হল যাতায়াতের সমস্যা। সেই সমস্যা সমাধানের জন্য দীর্ঘদিন ধরে‌ সেতু তৈরির দাবি জানাচ্ছেন এখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা। সাগরদ্বীপবাসীর সেই স্বপ্ন এবার পূরণ হতে চলেছে।চলতি আর্থিক বছরেই গঙ্গাসাগরে নতুন সেতু তৈরির কাজে হাত দিচ্ছে রাজ্য সরকার।

লোকসভা ভোটপর্ব মিটলেই ১২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রস্তাবিত ওই সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়ে যাবে। কেন্দ্রের কাছে সাড়া না পেয়ে রাজ্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকেই সাগরে নতুন সেতু তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে দু’টি বড় সেতুর পাশাপাশি রাজ্য জুড়ে ১৩২টি ছোট ও মাঝারি সেতু তৈরির পরিকল্পনা করেছে রাজ্য।

নতুন আর্থিক বছরে পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে নতুন সেতু নির্মাণকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে । লোকসভা ভোটের আদর্শ আচরণবিধি লাগু থাকায় এখন কোনও নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া সম্ভব নয়।কিন্তু ভোট মিটলেই যাতে কাজ শুরু করে দেওয়া যায় তা নিশ্চিত করতে এখন থেকে যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখছে রাজ্যের পূর্ত দফতর।

সম্প্রতি নবান্নে পূর্তদফতরের একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দফতর সূত্রে জানা গেছে। যেসব সেতু তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য প্রায় ১,২০০ কোটি টাকা খরচ করে গঙ্গাসাগর সেতু এবং ৮০০ কোটি টাকা খরচে শিল্প সেতু নির্মান। ছাড়াও প্রায় ৯০০ কোটি টাকা খরচ করা হবে ছোট ও মাঝারি সেতু নির্মাণ করতে। এর মধ্যে ৪২টি সেতু তৈরি করার কথা রয়েছে পূর্তদপ্তরের। বাকি ৯০টি করবে পূর্তদপ্তরের সড়ক শাখা বা পিডব্লুডি (রোডস)। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কালনার সঙ্গে শান্তিপুরের সংযোগকারী সেতু, তেহট্টে জলঙ্গী নদীর উপর সেতু এবং মুর্শিদাবাদে বাবলা নদীর উপর লোহাদহ ঘাট সেতু। এছাড়া, পাহাড় সহ গোটা উত্তরবঙ্গে তৈরি একাধিক সেতু। হাওড়া জেলার গ্রামীণ এলাকাতেও তৈরি হবে একটি সেতু।

ইতিমধ্যেই পূর্ত দফতরের অধীনে থাকা রাজ্যের সমস্ত সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী দুর্বল সেতুগুলির জায়গায় নতুন সেতু হবে। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, সংযোগকারী রাস্তা অনেক চওড়া আর সেতু যথেষ্ট সঙ্কীর্ণ। সেসব ক্ষেত্রে সেতু আরও চওড়া করা হবে। এই প্রেক্ষিতে কোন কোন সেতুর কাজ চলতি অর্থবর্ষেই শুরু করা যবে, তা চিহ্নিত করা হয়েছে ওই বৈঠকে। গত কয়েক বছরে সড়ক সংস্কারে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে রাজ্য। পাহাড় থেকে সাগর—রাজ্যজুড়ে কয়েক হাজার কিলোমিটার রাস্তা নতুন অথবা সংস্কার হয়েছে। সেই তুলনায় সেতু সংস্কার বা নতুন সেতু তৈরির কাজ হয়নি। তাই এ বছর সেতু তৈরিকে অগ্রাধিকার দিয়ে এগোতে চাইছে রাজ্য।




Previous articleইস্টবেঙ্গলেই থেকে গেলেন হিজাজি-ক্রেসপো : সূত্র
Next articleবিজেপি-রাজ্য তফশিলি হেনস্থায় শীর্ষে কেন? অসীমকে মোক্ষম প্রশ্ন অভিষেকের