৭৫তম স্বাধীনতা দিবসেও কেন্দ্রীয় সাহায্যের আশায় শ্রীরামপুরের বিপ্লবীর পরিবার

দেখতে দেখতে দেশের স্বাধীনতার বয়স হল ৭৫ বছর। কিন্তু আজও শ্রীরামপুরের স্বাধীনতা সংগ্রামী ক্ষিতীশচন্দ্র রায়কে (Khitischandra Ray) কোনও স্বীকৃতি দিল না কেন্দ্রীয় সরকার- (Central Government) অভিযোগ পরিবারের।

স্বাধীনতার দাবিতে উত্তাল দেশ। সালটা ১৯৪৫। সশস্ত্র বিপ্লবীদের মিছিলে প্রথম সারিতে ন্যাশনাল আর্মি (আইএনএ)কমান্ডিং অফিসার জ্ঞান সিং, ক্যাপ্টেন আব্দুল হোসেন সঙ্গে ক্ষিতীশচন্দ্র রায়। চোখের পলক পড়তে না পড়তেই ব্রিটিশদের বন্দুকের নল থেকে বেড়িয়ে এল গরম বুলেট। পায়ের পেশি ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল ক্ষিতীশ রায়ের। রক্তাক্ত বিপ্লবীকে পুলিশের চোখ আড়াল করে নিয়ে চলে গেলেন সহযোদ্ধারা। সে বছর অধুনা বাংলাদেশের কক্সবাজারে চলছিল গোপন মিটিং। পুলিশ ও মিলিটারির যৌথ অভিযানে ধরা পরেন ক্ষিতীশচন্দ্র রায়। ঠিকানা হল চট্টগ্রাম (Chattagram) জেলা। পরের বছর ১৯৪৬ সালের ১৩ মার্চ জেল থেকে পালিয়ে সোজা কলকাতার খিদিরপুরে। শুরু হল আবার আন্দোলন। যোদ্ধাদের স্বপ্ন হল বাস্তব। অবশেষে এল স্বাধীনতা। ক্ষিতীশ রায়ের লড়াই চলতেই থাকল। কেন্দ্র সরকার এই স্বাধীনতা সংগ্রামীকে স্বীকৃতিটুকুও দেয়নি অভিযোগ পরিবারের। আর এখন স্বাধীনতা সংগ্রামী ক্ষিতীশচন্দ্র রায়ের পরিবারের ঠিকানা শ্রীরামপুরের মহেশ কলোনির টালির বাড়িতে।

প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামীর স্ত্রী দুই ছেলেকে নিয়ে কোনও রকমে সংসার চলান। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সাহায্য রয়েছে বলেই জীবনধারণ করতে পারছেন ডলে জানান তাঁর স্ত্রী। তাঁর এক ছেলে অটো চালক। আর এক ছেলে শ্রীরামপুর পুরসভার অস্থায়ী সাফাই কর্মী। পরিবারের অভিযোগ, আজও পর্যন্ত জুটল না কেন্দ্রের সাহায্য। বিভিন্ন দফতরে চিঠি কোনও সুরাহা হয়নি। মেলেনি কোনও সাহায্য। লালকেল্লায় উঠল জাতীয় পতাকা। কিন্তু যাঁদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা এসেছিল, তাঁদের পরিবারই এখন অন্ধকারে।

আরও পড়ুন:বিধি মেনে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান রেড রোডে, পতাকা উত্তোলন-পুরস্কার প্রদান মুখ্যমন্ত্রীর