সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট এক ঐতিহাসিক রায়ে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের পাশ করা যে কোন বিল নিয়ে তিন মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাষ্ট্রপতিকে (President of India)। এই নির্দেশকে ন্যায্য দাবি করলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রাক্তন বিচারপতি জাস্তি চেলামেশ্বর (Jasti Chelameswar)। প্রাক্তন বিচারপতি নিজের বক্তব্যের সপক্ষে বলেন, ‘আমরা এই দেশে মেনে নিয়েছি যে কোনও আইন সংবিধানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা নির্ধারণ করার অধিকার বিচার বিভাগের রয়েছে। আপনি ও আমি বিচারপতি (সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টের) হিসেবে যদি সংসদে গৃহীত আইন অসাংবিধানিক (unconstitutional) ঘোষণা করতে পারি, তাহলে একটি সংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিকে (রাষ্ট্রপতি) জনহিতকর কাজ করার নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা বিচার বিভাগের(সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের) নেই, এই ধারণা আমি মেনে নিতে পারি না। সংবিধান অনুযায়ী এই ব্যাখ্যা যুক্তিসঙ্গত নয়।’
এই প্রসঙ্গে সম্প্রতি জগদীপ ধনকড়ের মৌখিক আক্রমণের বিরোধিতা করে প্রাক্তন বিচারপতি আরও বলেন,ভারতীয় সংবিধানের প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রপতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সাহায্য এবং পরামর্শের ভিত্তিতে কাজ করেন। যদি সুপ্রিম কোর্ট তিন মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে (রাষ্ট্রপতির কাছে) যথাযথ পরামর্শ দেওয়ার নির্দেশ দিত, তাহলে কোনও আপত্তি থাকত না। সুপ্রিম কোর্টের বলা উচিত ছিল যে কেন্দ্রীয় সরকারকে (Central Government) সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত কারণ, আপনার পরামর্শেই রাষ্ট্রপতি (President of India) কাজ করেন। এটাই যথেষ্ট।
দেশের প্রশাসনের অর্থ ব্যয় নিয়ে কড়া বার্তা প্রাক্তন বিচারপতির। অভিযোগ করেন, নির্বাচনে প্রার্থীদের বিপুল অর্থ ব্যয়, অথচ বিচার বিভাগের (judiciary) জন্য পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দের অভাবের কারণে মামলার পাহাড় জমে থাকা—এই সমস্ত বিষয়গুলো গভীর উদ্বেগের।
কেন্দ্রীয় ও রাজ্য আইনের মধ্যে বিরোধিতা সম্পর্কে আরেকটি প্রশ্নের জবাবে, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রাক্তন বিচারক বলেন, রাষ্ট্রপতির সম্মতি পেলে রাজ্যের আইন কার্যকর হতে পারে। তিনি বলেন, ‘দুটি আইন আছে, একটি সংসদ কর্তৃক, অন্যটি রাজ্য আইনসভার তৈরি। যদি উভয় আইনের মধ্যে কিছু বিরোধ থাকে, তাহলে সংবিধানের ২৫৪ অনুচ্ছেদ কার্যকর হবে। এখন, যদি বিষয়টি রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য সংরক্ষিত থাকে, তবে কিছু দ্বন্দ্ব রয়েছে। তবুও, রাষ্ট্রপতির সম্মতি প্রদানের শর্তে, ২৫৪ অনুচ্ছেদের অধীনে রাজ্য আইন সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
–
–
–
–
–
–
–