এবার ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় পুরপ্রশাসক!

অন্য ভূমিকায় পুরপ্রশাসক। রীতিমতো রাস্তায় নেমে হাত দেখিয়ে গাড়ি দাঁড় করিয়ে পথচারীদের পার করিয়ে দিচ্ছেন। আবার কড়াভাবে নিয়ন্ত্রণ করছেন গাড়ির গতিও। আইন ভাঙলে কড়া ভাষায় ধমকও দিচ্ছেন চালকদের। কাঁথি শহরের রাস্তায় রীতিমত ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় দেখা গেল পুরপ্রশাসক হরিসাধন দাস অধিকারীকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মত দুর্ঘটনা এরাতে এবং রাস্তাযানজট মুক্ত করতে এবার নিজেই রাস্তায় নামলেন স্বয়ং পুরপ্রশাসক।

পুজোর আগে শহরকে যানজট মুক্ত করতে হবে। তাই পুরসভার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ দফতর-সহ সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নিয়ে শীঘ্রই বৈঠকে বসতে চলেছেন কাঁথির মহানাগরিক। এই বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন নতুন পুর প্রশাসক। তিনি বলেন, ‘আমি নিজে পুর এলাকার দীর্ঘদিনের বাসিন্দা। শহরের যানজটের খুঁটিনাটি আমার জানা। পুলিশ প্রশাসন ও পুর প্রশাসন যৌথভাবে এনিয়ে অভিযান চালাবে। কারণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য আমাকে এই দায়িত্ব দিয়েছেন।’

আরও পড়ুন- রবীন্দ্র সরোবর নতুনভাবে সাজিয়ে তুলতে চলেছে রাজ্য, গড়ছে বিশেষজ্ঞ কমিটি

স্বয়ং পুরপ্রশাসককে এই ভূমিকায় দেখে কাঁথির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শেখ সইদুল বলেন, ‘এমন পুরপ্রশাসক পেয়ে আমরা ভীষণ খুশি।’ শহরের যে সব এলাকায় প্রায়ই যানজট লেগে থাকে, সেই সব এলাকা ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছে কাঁথি পুরসভা। কাঁথির পোস্ট অফিসমোড়, চৌরঙ্গীমোড়, স্কুল বাজারের স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সামনের রাস্তা, কাঁথি সুপার মার্কেটে প্রবেশ পথের এলাকা , এমনকি স্কুল বাজারের পাহাড়ি কমপ্লেক্সের সামনে রাস্তা, নেতাজি সুভাষ রোডের দুলাল গিরির লেদের সামনের সংকীর্ণ রাস্তা, রাজাবাজারমোড়, শ্রীরূপা সিনেমা রোডে সরস্বতী ক্লাবের সামনের এলাকায় যানজট নিয়ন্ত্রণে এবার বিশেষ জোর দিচ্ছে কাঁথি পুরসভা। পৌরসভার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ দফতরের কর্মীর সংখ্যা আরও বাড়ানো হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন নতুন পুরপ্রশাসক ।

আরও পড়ুন- এবার তমলুকে শুভেন্দুর গাড়ি ঘিরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান